প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, পরে সাপের গতিবিধি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে পড়ে যান তাঁরা। তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে।
সংগঠনের সদস্যরা এসে প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বাড়ির ভিতর থেকে একটি বিষধর গোখরো সাপ ও ১৯টি সাপের ডিম উদ্ধার করেন। এভাবে বাড়ির ভিতরে বিষধর সাপের আস্তানা হওয়ায়, শিশু ও অন্যান্য সদস্যদের যে কোন মুহূর্তে বিপদে পড়ত হত বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
advertisement
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া সাপ ও ডিম বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, বিষাক্ত সাপ কামড়ালে কোনও অবস্থাতেই ওঝা বা গুনিনের কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা।
কারণ, দ্রুত চিকিৎসাই একমাত্র সাপে কাটা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে। ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালেও, সাপ উদ্ধার হওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। তবে আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে, এলাকায় আরও বিষধর সাপ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে। বিষয়টি নিয়ে নজর রাখা হচ্ছে স্থানীয়দের তরফে।
—- Rudra Narayan Roy