এছাড়াও পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো দেখাশোনা করছে বনদফতর। বীরভূমের বোলপুর এর মধ্যে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম হরিণ সংরক্ষণ স্থল। প্রসঙ্গত আনুমানিক ১৯৭৭ সালে তৈরি হয় এই অভয়ারণ্যটি। এখানে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই অভয়ারণ্যটি। যার দৈর্ঘ্য হল ৫৬ মিটার। এই অভয়ারণ্যে একসময় ২৬০টির বেশি হরিণ ছিল।
advertisement
এরপর এখান থেকে বক্সার অভয়ারণ্যে ২০০টির বেশি হরিণ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বল্লভপুর হরিণ উদ্যানে রয়েছে ৪৫টির মত হরিণ। এই অভয়ারণ্য বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের কাছে ডিয়ার পার্ক নামেই পরিচিত। পর্যটকরা শান্তিনিকেতন এলে তাঁদেরও এক টুকরো বন্যপ্রাণের চারণভূমির খোঁজ মেলে বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। বছরের প্রত্যেকদিন দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে এই অভয়ারণ্য ভ্রমণের জন্য চলে আসেন।
অন্যদিকে তাপপ্রবাহ থেকে হরিণদের রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে বনদফতর। বনদফতরের কর্মীরা বলেন, “নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে চলছে ওআরএস, গ্লুকোজ, ভিটামিন-সহ নানাবিধ ওষুধ। এই গরমে হরিণদের শরীর সুস্থ রাখতে দেওয়া হচ্ছে ঠান্ডা পানীয় জল। ডিহাইড্রেশন থেকে হরিণদের বাঁচাতে নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হরিণদের কৃমি, গায়ে পোকা, ক্যালসিয়াম ও মিউটেশনের জন্য নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।” অন্যদিকে হরিণরা অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের দ্রুত চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করছেন বনদফতর। সব মিলিয়ে হরিণ গুলির দিকে সর্বদা নজর দিচ্ছেন বনদফতর।
সৌভিক রায়






