তাতেই সাড়া দিয়ে দিল্লি থেকে দুই আধিকারিক বোলপুর শান্তিনিকেতন আসেন। উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা রবীন্দ্র ভবন ও উপাসনা গৃহ পর্যবেক্ষণ করেন।তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ।
প্রসঙ্গত বোলপুর শান্তিনিকেতনে মূলত যে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ভবন রয়েছে,তার মধ্যে ‘উদয়ন গৃহ’ ও ‘উপাসনা গৃহ’ অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ৩০-এর দশকে উদয়ন গৃহ নির্মাণে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মূলত রবীন্দ্রনাথের স্বাচ্ছন্দ্য ও দেশ-বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের কথা ভেবে তিনি এই বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করেন, রূপায়ণে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কর।
advertisement
এই বাড়ির অনেক ঐতিহাসিক পটভূমিকা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর কথোপকথন এই বাড়িতেই হয়েছিল। তার ছবি রয়েছে এই বাড়িতে। কবির জন্মদিনে জনগণের উদ্দেশ্যে জীবনের শেষ বার্তা দিয়েছিলেন উদয়ন বাড়ির বারান্দা থেকেই। ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই কবির অন্তিম যাত্রা শুরু হয় এই বাড়ি থেকেই। বর্তমানে বিশ্বভারতীর কার্য্যালয়, প্রদর্শশালা হিসেবে বাড়িটি ব্যবহৃত হয়। ভবনটিতে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত চেয়ার, পিয়ানো, দোলনা যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত রয়েছে।
সৌভিক রায়