সেই কারণে এদিন শান্তিপুর বিডিও উদ্যোগ নিয়ে নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গঙ্গার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেরাই হাত লাগালেন। এদিন ফুলিয়া বয়রাঘাট এবং শান্তিপুর নৃসিংহ পুর গঙ্গার ঘাটকে দূষণমুক্ত করার জন্য ছাত্র-ছাত্রী তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকার বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানও শামিল হলেন। গঙ্গার ঘাটের যত ধরনের দূষিত পদার্থ যা গঙ্গায় ধীরে ধীরে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে সেগুলি নিজেদের হাতে পরিষ্কার করলেন। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত উপস্থিত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: মায়াপুর না মিনি ওয়ার্ল্ড! দোলের আগেই রূপ বদলেছে ইসকন চত্বর, দেখে চেনা দায়!
তবে বিডিওর আহবানে ছাত্রছাত্রীরা এলেও পরে শিশুর সরল মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করে ফেলে প্লাস্টিক কারখানাগুলি যদি বন্ধ করা হয় তাহলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। তাহলে কেন এই প্লাস্টিক কারখানা থেকে এই ধরনের প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে না? উত্তরে বিডিও সাহেব বলেন, মানুষ যদি সচেতন হয় এবং মানুষ এই সমস্ত প্লাস্টিক যদি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয় তাহলে ধীরে ধীরে এই সমস্ত কারখানা থেকে এই ধরনের প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে শান্তিপুর নৃসিংহ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বরূপ কুমার ঘোষ জানান, “খুবই ভাল উদ্যোগ। এর আগেও আমরা একাধিক কর্মসূচি করেছি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। এদিন বিডিও সাহেবের আহবানে অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমরা দুটি গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করলাম।” বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, “শুধু একদিনের কর্মসূচি না শিশু কিশোর মনে প্রশ্ন উত্তরের মধ্যে দিয়ে সমাজ পরিষ্কার রাখার উপলব্ধি করানো হয়েছে এদিন।”
প্রধান বীরেন মাহাতো জানান, হরিপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত সাফাই কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন প্রয়োজন মাফিক ডাস্টবিনে রাখা রয়েছে। কিন্তু মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে আরও, আর সেই কাজে সবচেয়ে উপযোগী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কারণ তারাই বিদ্যালয়ের সহ নিজের বাড়ি এবং পরিবেশ সুরক্ষার কাজ করে থাকে আন্তরিকতার সঙ্গে।
Mainak Debnath





