হুগলি জেলার দাদপুর থানার বাদিনান গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মল্লিক। ইতালির মিলান থেকে ফ্যাশন ডিজাইন ডিগ্রি করার মাধ্যমে তার ফ্যাশন দুনিয়ায় পা রাখা। বিভিন্ন দেশে , বিভিন্ন সংস্থায় তার ডিজাইন ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। ২০২৩সালে ৬ই মে রাজা চার্লস ও রানীর করোনেশনের সময় প্রিয়াঙ্কার ডিজাইন দ্য ইটারনাল রোজ ড্রেস ফর হার ম্যাজেস্টি কুইন ক্যামিলার এবং রাজা চার্লস ৩ এর জন্য প্রজাপতি ব্রোচ খুব ই পছন্দ করেন তারা। রাজা, রানী, বাকিংহাম প্যালেস সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তার কাছে শুভেচ্ছা বার্তা এসে পৌঁছায়।
advertisement
আরও পড়ুন Singer Champion: ঐশীর এমন সাফল্যে আজ যেন গর্বিত গোটা গোবরডাঙ্গাবাসী, এলাকায় উৎসবের মেজাজ
এবার প্রিয়াঙ্কার তৈরি করা সেই দুটি ডিজাইন চাঁদের মাটিতে পৌঁছে গেল। রবিবার ভারতীয় সময় দুটো চার মিনিটে নাসার-র সহযোগিতা ফেরিফ্লাই এরস্পেস-এর ব্লু ঘোস্ট লুনার ল্যান্ডার পা রাখে। গত ১৫ ই জানুয়ারি পৃথিবী থেকে রওনা দেয় ব্লু ঘোস্ট। সেই মিশনের লাইফশিপ পিরামিডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা মল্লিক এর দুটো ডিজাইন। প্রিয়াঙ্কা মল্লিক হলেন প্রথম ফ্যাশন ডিজাইনার যার সৃষ্টি ডিজাইন প্রথম চাঁদে পৌঁছাল। গত ১৫ই জানুয়ারি মিশন শুরুর পরেই নাসা থেকে ইউনিভার্সাল ফ্যাশন ডিজাইনার স্বীকৃতি পান প্রিয়াঙ্কা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষরিত শুভেচ্ছা বার্তা ই – মেল মারফত এসে পৌঁছায় অজ পাড়া গায়ের বাড়িতে। তাতে প্রিয়াঙ্কার ডিজাইনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকেও ডাকযোগে শুভেচ্ছা বার্তা এসেছিল তার আবেদনের জন্য।
প্রিয়াঙ্কা জানান, এই ডিজাইন গুলো আমি ভার্চুয়ালি কোম্পানিকে পাঠাই। এবং তারা জানায় এটা লাইভ শিপ পিরামিড এর মধ্যে একটা টেকনোলজির সাহায্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যেটা হাজার হাজার বছর অবধি চাঁদের মাটিতে রয়ে যাবে। এটা হিউম্যান কালচার হিউম্যান ফ্যাশন আর্টকে সারা ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে দেবে। আমাদের সমাজ শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী সমাজ এসে দেখতে পাবে পৃথিবীর সংস্কৃতি ,ফ্যাশন কি ছিল।।ঐতিহাসিক সাফল্যে উচ্চসিত প্রিয়াংকা। তিনি আরও বলেন, আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এটা এমন একটা স্বপ্ন সফল হল যেটা আমি জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি।
রাহী হালদার





