Bardhaman Town Hall: কোটি কোটি টাকা খরচে নতুন রূপে সাজছে বর্ধমান টাউন হল! সুবিধা বাড়বে অনেক, কী কী হচ্ছে জানলে চমকে যাবেন

Last Updated:
Bardhaman Town Hall: নবরূপে সেজে উঠছে বর্ধমানের টাউন হল। ঐতিহ্যকে বজায় রেখে করা হচ্ছে সংস্কারের কাজ।বাড়ানো হয়েছে মঞ্চের আয়তন। হলের বাইরের দিকে থাকবে বিশেষ আলো। এছাড়াও থাকছে একাধিক ব্যবস্থা।
1/9
নবরূপে সেজে উঠছে বর্ধমানের টাউন হল। ঐতিহ্যকে বজায় রেখে করা হচ্ছে সংস্কারের কাজ। বাড়ানো হয়েছে মঞ্চের আয়তন। হলের বাইরের দিকে থাকবে বিশেষ আলো। এছাড়াও থাকছে একাধিক ব্যবস্থা। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
নবরূপে সেজে উঠছে বর্ধমানের টাউন হল। ঐতিহ্যকে বজায় রেখে করা হচ্ছে সংস্কারের কাজ। বাড়ানো হয়েছে মঞ্চের আয়তন। হলের বাইরের দিকে থাকবে বিশেষ আলো। এছাড়াও থাকছে একাধিক ব্যবস্থা। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
advertisement
2/9
১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইতালিয় ও ব্রিটিশ স্থাপত্যের যুগলবন্দিতে ২৪০০ বর্গফুট আয়তনের ওপর তৈরি হয়েছিল বর্ধমান টাউন হল। এখানে এসেছিলেন অনেকে মনীষীও।
১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইতালিয় ও ব্রিটিশ স্থাপত্যের যুগলবন্দিতে ২৪০০ বর্গফুট আয়তনের ওপর তৈরি হয়েছিল বর্ধমান টাউন হল। এখানে এসেছিলেন অনেকে মনীষীও।
advertisement
3/9
জানা যায়, বর্ধমান রাজ পরিবারের আত্মীয় বংশগোপাল নন্দের স্মৃতি রক্ষার্থে গতিপ্রকাশ নন্দ ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান পৌরসভাকে জায়গাটি দান করেন। তখন জায়গাতে ছিল রাজাদের বাগান। এক সময়ে রাজাদের এই বাগানেই বর্তমানে টাউন হল।
জানা যায়, বর্ধমান রাজ পরিবারের আত্মীয় বংশগোপাল নন্দের স্মৃতি রক্ষার্থে গতিপ্রকাশ নন্দ ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান পৌরসভাকে জায়গাটি দান করেন। তখন জায়গাতে ছিল রাজাদের বাগান। এক সময়ে রাজাদের এই বাগানেই বর্তমানে টাউন হল।
advertisement
4/9
এই টাউন হলে আসন সংখ্যা ছিল ৪৮৫। এর আগে নয়ের দশকে শেষবারের মতো সংস্কার হয়েছিল টাউন হলের। বর্তমানে ২০২৫ সালে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। সম্ভবত সংস্কারের পর এই মাসেই উদ্বোধন হবে নবরূপে সেজে ওঠা টাউন হল।
এই টাউন হলে আসন সংখ্যা ছিল ৪৮৫। এর আগে নয়ের দশকে শেষবারের মতো সংস্কার হয়েছিল টাউন হলের। বর্তমানে ২০২৫ সালে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। সম্ভবত সংস্কারের পর এই মাসেই উদ্বোধন হবে নবরূপে সেজে ওঠা টাউন হল।
advertisement
5/9
প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী টাউন হলটি। হলের ভিতর বাইরের সমস্ত প্লাস্টার প্লাস্টার ছাড়িয়ে করা হচ্ছে নতুন করে। সমস্ত পুরনো কাঠ ফেলে দিয়ে সেগুন কাঠের কারও কাজ করা হচ্ছে। মঞ্চের আয়তন সামনের দিকে ২ মিটার বাড়ানো হয়েছে এবং পুরনো কাঠ সরিয়ে সেগুন কাঠ দেওয়া হয়েছে। আধুনিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চটিকে।
প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী টাউন হলটি। হলের ভিতর বাইরের সমস্ত প্লাস্টার প্লাস্টার ছাড়িয়ে করা হচ্ছে নতুন করে। সমস্ত পুরনো কাঠ ফেলে দিয়ে সেগুন কাঠের কারও কাজ করা হচ্ছে। মঞ্চের আয়তন সামনের দিকে ২ মিটার বাড়ানো হয়েছে এবং পুরনো কাঠ সরিয়ে সেগুন কাঠ দেওয়া হয়েছে। আধুনিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চটিকে।
advertisement
6/9
হলের ভিতরে থাকা বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের পুরনো ছবিগুলি সরিয়ে নতুন করে ছবিগুলি সাজানোর জন্য শিল্পী, ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি ঠিক করবেন। পাশাপাশি আর্কিটেক্ট দিয়ে সমস্ত নকশা তৈরি করে সংস্কার করা। মঞ্চের পাশে একটি মহিলা এবং একটি পুরুষ গ্রিন রুম করা হয়েছে, মহিলা গ্রিন রুমে রয়েছে বাথরুম।
হলের ভিতরে থাকা বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের পুরনো ছবিগুলি সরিয়ে নতুন করে ছবিগুলি সাজানোর জন্য শিল্পী, ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি ঠিক করবেন। পাশাপাশি আর্কিটেক্ট দিয়ে সমস্ত নকশা তৈরি করে সংস্কার করা। মঞ্চের পাশে একটি মহিলা এবং একটি পুরুষ গ্রিন রুম করা হয়েছে, মহিলা গ্রিন রুমে রয়েছে বাথরুম।
advertisement
7/9
এছাড়াও করা হয়েছে মঞ্চের পাশে একটি ভাল বাথরুম। এমনকি থাকছে ভিআইপি গেস্টদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থাও। কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আনা হয়েছে আলো ও সাউন্ড। মঞ্চের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়া এবং আসনগুলি আরামদায়ক করার ফলে কমেছে আসন সংখ্যা। সংস্কারের পর টাউন হলে আসন সংখ্যা হবে ২৮০।
এছাড়াও করা হয়েছে মঞ্চের পাশে একটি ভাল বাথরুম। এমনকি থাকছে ভিআইপি গেস্টদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থাও। কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আনা হয়েছে আলো ও সাউন্ড। মঞ্চের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়া এবং আসনগুলি আরামদায়ক করার ফলে কমেছে আসন সংখ্যা। সংস্কারের পর টাউন হলে আসন সংখ্যা হবে ২৮০।
advertisement
8/9
শুধুমাত্র টাউন হলের ভিতরেই নয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বাইরের অংশটিকেও। টাউন হলের পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই বাইরের অংশে করা হয়েছে রং ও নানা ডিজাইন। এছাড়াও থাকছে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা। এই মাসের শেষের দিকেই নবরূপে আত্মপ্রকাশ করবে বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল।
শুধুমাত্র টাউন হলের ভিতরেই নয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বাইরের অংশটিকেও। টাউন হলের পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই বাইরের অংশে করা হয়েছে রং ও নানা ডিজাইন। এছাড়াও থাকছে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা। এই মাসের শেষের দিকেই নবরূপে আত্মপ্রকাশ করবে বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল।
advertisement
9/9
বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন,
বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, "টাউন হলের পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখে আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম তৈরি করাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। ঐতিহ্য বজায় রেখে কলকাতার বাইরে বিশেষ আধুনিক সুবিধা যুক্ত অডিটোরিয়াম গড়ে তোলাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। আশা করি বর্ধমানবাসী-সহ সাংস্কৃতিক জগতের সকলেরই পছন্দ হবে এই নতুন টাউন হল। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বাজেট থাকলেও কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সেই বাজেট পৌঁছবে প্রায় সাড়ে চার কোটিতে।" (ছবি ও তথ্য:সায়নী সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement