অন্যদিকে একই সময়ে হলদিয়ার সুতাহাটা থানায় আরও একটি নাবালিকা নিখোঁজের অভিযোগ জমা পড়ে। তারপরেই নাবালিকাদের উদ্ধারে সচেষ্ট হয় ওই দুই থানার পুলিশ। যৌথ অভিযান চালিয়ে দিন রাজ্য থেকে উদ্ধার হয় দুই নাবালিকা সহ চারজন।
আরও পড়ুন: নিবেদিতা সেতুর নিচে ডাস্টবিনে সদ্যোজাত! শিশুর শরীরে কিলবিল করছে পোকা, বাঁচাল কে জানেন?
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিল্প শহর হলদিয়ার দুর্গাচক থানা ও হলদিয়া শহর সংলগ্ন সুতাহাটা থানায় নাবালিকা নিখোঁজ এর অভিযোগ জমা পড়ে ২৮ জুলাই। জানা যায় ওইদিন সন্ধ্যের পর থেকে দুই নাবালিকা নিখোঁজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমনিতেই নাবালিকা পালিয়ে বিয়ে করা বা ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। নাবালিকা উদ্ধারে যথেষ্ট এই তৎপর প্রসাশন। তাই দুই থানায় অভিযোগ জমা হওয়ার পরেই দ্রুত আসরে নামে দুই থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে জানা যায় ওই দুই নাবালিকাকে কর্মসংস্থানের টোপ দিয়ে ব্যাঙ্গালুরু নিয়ে যায় এক যুবক।
আরও পড়ুন: নাকে-মুখে চাপ চাপ রক্ত! পুকুরে ভাসছে ৭ বছরের মেয়ের দেহ, এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে মা? তুলকালাম
কর্মসংস্থানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই নাবালিকা ও দুই যুবতীকে ব্যাঙ্গালুরু নিয়ে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়দেব জানা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জয়দেব জানা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঙ্গালুরুতে বসবাস করছিল এবং সেখান থেকেই ওই চারজনকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও দুই মহিলা— মনি দোলুই ও অপর্ণা গিরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজন অভিযুক্তকে এদিন হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জয়দেবকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, মনি ও অপর্ণাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান হয়েছে।
এবিষয়ে হলদিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম অধিকারী জানান, ‘ঘটনার মূল অভিযুক্ত জয়দেব মণি ও অপর্ণাকে কাজ খুঁজে দেওয়ার নাম করে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এরপর মনি ও অপর্ণার সঙ্গে ওই দুই নাবালিকার যোগাযোগ হয়। ২৮ জুলাই সন্ধ্যের পর বাড়ি ছাড়ে ওই দুই নাবালিকা সহ প্রত্যেকেই। সোমবার সন্ধ্যার পর বেঙ্গালুরু থেকে ওই দুই নাবালিকা সহ ওপর দুই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়দেবের সঙ্গে ওই দুই যুবতীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত জয়দেবকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ‘ কর্মসংস্থানের টোপ দিয়ে তুই নাবালিকাকে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পর পাচারের উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আপাতত ওই দুই নাবালিকাকে নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারি হোমে রাখা হয়েছে।