আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ৪২ জন ছাত্র নিয়ে ১২ ফুট উঁচু সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ল স্কুলবাস! হাহাকার
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের নিত্যানন্দপুরে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী বলেন, “এসআরডিএ ইঞ্জিনিয়ারদের সক্রিয় হতে হবে। কাজ শেষ হলে ফিতে দিয়ে মেপে বলে কাজ ঠিক হয়েছে, পরে গ্রামের লোক গালমন্দ করে।” আর হাতে গোনা কয়েক মাস। তারপরই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চতুর্থ পর্যায়ের পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার রাস্তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার মোট ৭০০টি রাস্তা নির্মাণ কাজের সূচনা করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানিকভাবে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের রাস্তার উদ্বোধন করা হয়। ভাতার ব্লকের মধ্যে রয়েছে ৬৬.৮২ কি.মি রাস্তার জন্য বরাদ্দ প্রায় ২৯ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: হাওড়া ময়দান থেকে Sector V রুটে বাড়ছে মেট্রো! আরও রাত পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে গ্রিন লাইনে
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানি, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা, জেলা পরিষদের শিক্ষাও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মধ্যক্ষ শান্তনু কোনার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
সেই সভায় পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের রাস্তার গুণগত মান নিয়ে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারদের আগাম সতর্ক করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এই প্রকল্পের সূচনা হল।” মন্ত্রী আরও বলেন, “গ্রামে কিছু ইঞ্জিনিয়ার দাঁড়িয়ে গেছে, কিছু হলেই বলে এটা ঠিক হল না তো? আসল ধান্দা অন্য জায়গায়। ওসব বন্ধ করার চেষ্টা হোক, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় রাস্তাগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অল্প দিনে নষ্ট হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ এই নিয়ে সমালোচনা করেন। অনেক সময় ঠিকাদার সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেন না। আগামীতে রাস্তা তৈরির সমস্ত কাজ সঠিকভাবে দেখভালের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের তিনি অনুরোধ করেন”।
অন্য দিকে, এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এটা এক দিক অংইয়ে খোলা মঞ্চ থেকে তোলাবাজির আহ্বান। যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অত টাকা কোথায় খরচ হবে, এখানেই কাটমানি খাবার সুযোগ আছে। তাই সাধারণ মানুষের নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হবে”।
