কালীপুজোর জল ঢালা পরব শুরু হওয়ার আগে থেকেই মন্দির সংলগ্ন এলাকাকে সাজিয়ে তোলা হয় উৎসবের মেজাজে। কেননা শুধুমাত্র হুগলি জেলা নয়, জেলার বাইরের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু সংখ্যক মানুষ আসেন এই পুজো উপলক্ষে। একদিকে যেমন নৈহাটির বড়মার মাহাত্ম্য রয়েছে ঠিক তেমনই হুগলিতে মাহাত্ম্য রয়েছে শকুন্তলা কালী মায়ের। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও কয়েক লক্ষ মানুষ মায়ের বেদীতে পূর্ণ অর্জনের জন্য জল ঢালতে আসেন। গঙ্গাস্নান করে মোট তিনটি রুটে তারা পৌঁছান মায়ের বেদীতে জল ঢালার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩৬ বছরের শকুন্তলা কালীপুজো ঘিরে অজস্র ভক্ত সমাগম! কোন্নগরে এখন সাজো সাজো রব
এই বছর গঙ্গায় ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনার কারণে কোন্নগর বার মন্দির ঘাটে পুণ্য স্নান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে খোলা ছিল কোন্নগর ব্রহ্মসমাজ ঘাট, কোন্নগর সাধন ঘাট এবং বাটাঘাট। প্রত্যেকটি ঘাটে নৌকা নিয়ে টহুলদারি করতে দেখা যায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। গঙ্গা স্নান করে পুণ্যার্থীরা যাতে সঠিকভাবে রাস্তা দিয়ে সুরক্ষিতভাবে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য তৈরি করা রাখা ছিল একাধিক চেক পয়েন্ট। যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোন্নগর পৌরসভার তরফে পৌরকর্মীরাও রাত জেগে পরিষেবা প্রদান করেন পুণ্যার্থীদের। পুরসভার তরফ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সও মজুত রাখা হয়েছিল। সব মিলিয়ে উৎসবের মধ্যে যাতে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য সব দিক দিয়ে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বেষ্টনি তৈরি করেছিল প্রশাসন ও পূজা উদ্যোক্তারা দুইয়ে মিলে।
রাহী হালদার






