পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় এমএসকে স্কুলে। লাগাতার কয়েক বছর ধরে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন চলছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। গত বছর ভাঙনের কবলে পড়ে বাড়িঘর হারাতে হয়েছিল প্রতাপগঞ্জ, শিবপুর, মহেশটোলা, ঘনশ্যামপুর এলাকার কয়েকশো পরিবারকে। ভিটে মাটি হারিয়ে এখনও ত্রাণ শিবিরে বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের। এখন সবে মাত্র শীতের শেষ। গঙ্গায় জল কম তাতেও ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কের ঘুম ছুটেছে গ্রামবাসীদের। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই সামশেরগঞ্জের কামালপুরে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হতে দেখা যায়। গোটা সাতেক বাড়ি রাতের অন্ধকারে তলিয়ে যায়, সঙ্গে কয়েক বিঘা জমি। বিড়ি শিল্প প্রভাবিত এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যায় মুনসিকে বিড়ি দিতে গিয়েছিলেন বাড়ির মহিলারা তার ফলে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসটুকু বের করার সুযোগ পাননি। এসে দেখেন গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে বাড়ি, জিনিসপত্র সবকিছু।
advertisement
আরও পড়ুন: সামনেই মন্ত্রিসভার বৈঠক, আবারও বাড়বে ডিএ? হাতে কত টাকা আসবে, হিসেবটা বুঝে নিন
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! ভারতের ৯ জায়গায় মিলল সোনার খনির খোঁজ, জেনে নিন কোথায় এই সুবর্ণ ভাণ্ডার..
পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় এম এস কে স্কুলে। ভাঙনের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। তাই বাড়ি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র ইট, টালি খুলে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। তবে এলাকার মানুষের অভিযোগ গত তিনবছর ধরে ক্রমাগত ভাঙন হলেও হুঁশ নেই প্রশাসনের, সামান্য কিছু বালির বস্তা ফেলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা, কিন্তু গ্রামের পর গ্রাম নদীতে তলিয়ে গেলেও কোনও হুঁশ নেই প্রশাসনের। তাঁদের দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে ভাঙন রোধের কাজ না করলে গ্রামের পর গ্রাম গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাবে একদিন।
ভাঙন বিধস্ত পিঙ্কি বিবি বলেন, ''আমরা বিড়ি বেঁধে সংসার চালাই। সেই কারণে সন্ধ্যায় মুন্সিকে বিড়ি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে যে বাড়িটাই দেখতে পাব না, কল্পনাও করিনি। ঘরের কোনও জিনিসপত্র বাঁচাতে পারিনি। পড়নের কাপড়টাই শেষ সম্বল।" এলাকাবাসী নুর মহম্মদ মল্লিক বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। কিন্তু তারপরেও সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে মিলিত উদ্যোগে ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে।
Pranab Kumar Banerjee
