আগে এই সময়ই নতুন ধান ঘরে তুলতেন চাষিরা। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পৌষ পার্বণের পূর্বেই নতুন ধান ঘরে তোলেন চাষিরা। কিন্তু ঐতিহ্য ও নিয়ম রক্ষার্থে অঘ্রাণ মাসের সংক্রান্তিতে অঘন সাঁকরাত পালন করা হয়। এইদিন পিঠেপুলির উৎসব হয় পুরুলিয়ার প্রায় সব গ্রামেই। ঢেঁকিতে চাল কোটা হয় সেই গুঁড়ো করা চাল দিয়ে নানা রকমের পিঠে তৈরি করা হয়। পৌষ পার্বণের পূর্বেই পিঠে-পুলি উৎসবের মাতে প্রতিটি গ্রাম।
advertisement
এ বিষয়ে আড়ষার চিতিডি গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আগে এই সময় ধান কেটে তাঁরা ঘরে তুলতেন। কিন্তু বর্তমানে নতুন ধান চাষ করার কারণে এখন আর তারা অঘ্রাণ মাসে সংক্রান্তিতে নতুন ধান কেটে ঘরে তোলেন না। কিন্তু পূর্বপুরুষদের আমল থেকে চলে আসা নিয়ম অনুসারে অঘ্রাণ মাসের এইদিনে তারা অঘন সাঁকরাত পালন করেন। লক্ষ্মী দেবীকে সম্মান জানাতে এই উৎসব করা হয়।
আরও পড়ুন : শীতে সপ্তাহান্তের ছুটিতে নবদ্বীপে এসে দেখুন ৫ প্রাচীন মন্দির, মন ভরে যাবে শান্তিতে
ঐতিহ্যবাহী লোকোৎসবগুলির মধ্যে অঘন সাঁকরাত একটি জনপ্রিয় লোকউৎসব। সারা বছর জঙ্গলমহলবাসী এই দিনের অপেক্ষা করেন। বিভিন্ন ধরনের পিঠে পুলি তৈরি হয় সকলের ঘরে। অর্থাৎ পৌষ পার্বণের পূর্বেই পিঠে পুলির উৎসবে মেতে ওঠে গোটা জঙ্গলমহল।