যেখানে সারা দিনের পাশাপাশি বিকালে পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্যের লাল আভায় আরও উজ্জ্বল হয় বসন্তের ফুল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাংলা ওড়িশা সীমানায় রয়েছে সারি দিয়ে পলাশের গাছ। যা পরিবেশের শোভা দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। যতদূর চোখ যায় তত দূরে রাঙা পলাশে ছেয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বসন্তের আর এই কটা দিনে আপনার ডেস্টিনেশন পুরুলিয়ার বদলে হোক এই জায়গা। তবে সামান্য কিছুটা দূরে আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীর স্নিগ্ধতা।
advertisement
পাতা ঝরা শীতের পর, হালকা শীতল আমেজে বসন্তের দিন যাপন। চারিদিকে রংবেরঙের ফুলে ভরে গিয়েছে গাছপালা। আর বসন্ত মানে পলাশ শিমুলে ভরে যাওয়া চারিদিক। তবে পলাশের টানে সবাই এই বসন্তের সময়ে পুরুলিয়া বাঁকুড়া কিংবা বীরভূম যেতে পছন্দ করে। সেখানে গিয়ে পলাশের বনে দেদার ছবি তোলে সকলে। তবে পুরুলিয়া কিংবা বীরভূম নয়, কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এমন সুন্দর এক পলাশের বাগান যা আপনি হয়তআগে কখনওই যাননি।
দিনে কতক্ষণ হাঁটলে শরীর ‘ফিট’ থাকে? সকাল না সন্ধ্যা, কোনটা হাঁটার ‘ঠিক’ সময়? জানুন চিকিৎসকের পরামর্শ
পশ্চিম মেদিনীপুরে বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতন থানার বেলমুলা এলাকায় রয়েছে একাধিক পলাশের গাছ। জাতীয় সড়কের পাশ থেকে চাষের মাঠ, অধিকাংশ জায়গায় শুধু পলাশের গাছ। সেই গাছ রাঙা হয়ে আছে ফুলে। কমবেশি বহু পর্যটক আসেন এখানে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। শুধু তাই নয় মেদিনীপুর শহর থেকে একদম কাছে।
অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? কোন ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে, জানলে চমকাবেন! বড় ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি?
তাই বসন্তে এই সময়ে যারা পলাশকে ভালবেসে পুরুলিয়া কিংবা বাঁকুড়া যাওয়ার প্ল্যান করছেন, তারা ঘুরে দেখুন বাংলার সীমানার বেলমুলা। কলকাতা থেকে মাত্র ২৭৫ কিলোমিটারের পথ। এখানে এলে মন ভালো হয়ে যাবে আপনার। রাঙা পলাশের সঙ্গে নিজেকে একটু রাঙিয়ে ফেলতে পারবেন এখানে এসে।
রঞ্জন চন্দ