দিনে কতক্ষণ হাঁটলে শরীর 'ফিট' থাকে? সকাল না সন্ধ্যা, কোনটা হাঁটার 'ঠিক' সময়? জানুন চিকিৎসকের পরামর্শ

Last Updated:
Walking Tips: শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস রাখুন। যাঁরা এখনও শুরু করেননি, এবার তাঁরাও রোজ হাঁটার অভ্যাস চালু করে ফেলুন। কখন কতটা হাঁটবেন? জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ।
1/10
শরীর সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে শুধু ওজন কমবে না, আরও বহু উপকারিতা মিলবে। কখন কতটা হাঁটবেন? জেনে নিন।
শরীর সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে শুধু ওজন কমবে না, আরও বহু উপকারিতা মিলবে। কখন কতটা হাঁটবেন? জেনে নিন।
advertisement
2/10
নিয়মিত হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা  - ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে – নিয়মিত হাঁটলে অতিরিক্ত চর্বি ঝরে ওজন কমে।  
- হৃদযন্ত্র ভাল থাকে – ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে।  
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় – রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা - ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে – নিয়মিত হাঁটলে অতিরিক্ত চর্বি ঝরে ওজন কমে। - হৃদযন্ত্র ভাল থাকে – ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে। - ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় – রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
3/10
নিয়মিত হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা - পেশি ও জয়েন্ট মজবুত হয় – হাঁটাচলা পেশি ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়, যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয়।  
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে – হাঁটা স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন কমায়, ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।  
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয় – নিয়মিত হাঁটলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
নিয়মিত হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা - পেশি ও জয়েন্ট মজবুত হয় – হাঁটাচলা পেশি ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়, যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয়। - মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে – হাঁটা স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন কমায়, ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। - শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয় – নিয়মিত হাঁটলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
advertisement
4/10
খালি হাঁটাচলার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত গতিতে হাঁটার চেষ্টা করবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। চোট পাওয়ার সম্ভাবনা তো থাকবেই। এছাড়াও আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে মারাত্মক ভাবে।
খালি হাঁটাচলার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত গতিতে হাঁটার চেষ্টা করবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। চোট পাওয়ার সম্ভাবনা তো থাকবেই। এছাড়াও আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে মারাত্মক ভাবে।
advertisement
5/10
আর তার প্রভাবে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে। তাই নিজের স্বাভাবিক গতিতে হাঁটাচলা করাই শ্রেয়।
আর তার প্রভাবে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে। তাই নিজের স্বাভাবিক গতিতে হাঁটাচলা করাই শ্রেয়।
advertisement
6/10
সকালে হাঁটতে পারলেই সবচেয়ে ভাল। কারণ ভোরবেলা রোদের তেজ কম থাকে, বাতাসে দূষণের মাত্রাও কম থাকে। বাড়ির কাছে মাঠ থাকলে সবচেয়ে ভাল। তা না হলে পার্ক, এমনি রাস্তা, কিছু না পেলে বাড়ির ছাদেও হাঁটতে পারেন নিয়মিত। তবে চেষ্টা করুন সমতল জায়গায় হাঁটাচলা করার। রাস্তা ভাল না হলে, পায়ে চোট-আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা অর্থাৎ ৩০ মিনিট হাঁটতে পারলেই যথেষ্ট। ভোরবেলা হোক কিংবা বিকেলে বা রাতের দিকে, চেষ্টা করুন হাঁটার অভ্যাস রাখার।
সকালে হাঁটতে পারলেই সবচেয়ে ভাল। কারণ ভোরবেলা রোদের তেজ কম থাকে, বাতাসে দূষণের মাত্রাও কম থাকে। বাড়ির কাছে মাঠ থাকলে সবচেয়ে ভাল। তা না হলে পার্ক, এমনি রাস্তা, কিছু না পেলে বাড়ির ছাদেও হাঁটতে পারেন নিয়মিত। তবে চেষ্টা করুন সমতল জায়গায় হাঁটাচলা করার। রাস্তা ভাল না হলে, পায়ে চোট-আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা অর্থাৎ ৩০ মিনিট হাঁটতে পারলেই যথেষ্ট। ভোরবেলা হোক কিংবা বিকেলে বা রাতের দিকে, চেষ্টা করুন হাঁটার অভ্যাস রাখার।
advertisement
7/10
ডাঃ অমিতাভ সেনগুপ্ত, অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের উপর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য উপকারী নয়, বরং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমায়। হাঁটা মানসিক চাপ দূর করতে এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। তবে হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতো পরা, সঠিক ভঙ্গিতে হাঁটা এবং জল খাওয়ার অভ্যাস রাখা জরুরি।
ডাঃ অমিতাভ সেনগুপ্ত, অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট ও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরের উপর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য উপকারী নয়, বরং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমায়। হাঁটা মানসিক চাপ দূর করতে এবং ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। তবে হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতো পরা, সঠিক ভঙ্গিতে হাঁটা এবং জল খাওয়ার অভ্যাস রাখা জরুরি।
advertisement
8/10
তিনি আরও বলেন, অনেকেই মনে করেন দৌড় বা ভারী শরীরচর্চার মতো হাঁটার তেমন কোনও উপকারিতা নেই, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। নিয়মিত হাঁটার ফলে জয়েন্ট ও পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে, ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন ভাল থাকে, যা আলঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই মনে করেন দৌড় বা ভারী শরীরচর্চার মতো হাঁটার তেমন কোনও উপকারিতা নেই, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। নিয়মিত হাঁটার ফলে জয়েন্ট ও পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে, ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন ভাল থাকে, যা আলঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে।
advertisement
9/10
কিছু জরুরি পরামর্শ  - অতিরিক্ত গতিতে হাঁটার দরকার নেই, স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন।  
- প্রথম দিন থেকেই ৩০ মিনিট হাঁটবেন না, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।  
- অতিরিক্ত রোদ বা গরমের সময় হাঁটবেন না, প্রয়োজনে জল পান করুন।  
- হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতো পরুন, যাতে পায়ে আঘাত না লাগে।  
- হাঁটার সময় সঙ্গে রাখুন জলের বোতল ও টাওয়েল।
কিছু জরুরি পরামর্শ - অতিরিক্ত গতিতে হাঁটার দরকার নেই, স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন। - প্রথম দিন থেকেই ৩০ মিনিট হাঁটবেন না, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। - অতিরিক্ত রোদ বা গরমের সময় হাঁটবেন না, প্রয়োজনে জল পান করুন। - হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতো পরুন, যাতে পায়ে আঘাত না লাগে। - হাঁটার সময় সঙ্গে রাখুন জলের বোতল ও টাওয়েল।
advertisement
10/10
হাঁটার মাঝে সামান্য সময়ের বিরতি নিয়ে ঘাম মুছে নিন টাওয়েল দিয়ে। অল্প করে জল খেয়ে নিন। তারপর আবার হাঁটুন। কয়েক সপ্তাহ এই অভ্যাস বজায় রাখলে নিজের বুঝতে পারবেন শরীর-স্বাস্থ্যের কী কী উন্নতি হয়েছে।
হাঁটার মাঝে সামান্য সময়ের বিরতি নিয়ে ঘাম মুছে নিন টাওয়েল দিয়ে। অল্প করে জল খেয়ে নিন। তারপর আবার হাঁটুন। কয়েক সপ্তাহ এই অভ্যাস বজায় রাখলে নিজের বুঝতে পারবেন শরীর-স্বাস্থ্যের কী কী উন্নতি হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement