TRENDING:

দুশ্চিন্তা কাটিয়ে নতুন আশার আলো! চেনা ছবি বদলে একেবারে উলটো চিত্র কুমোর পাড়ায়, ঠিক কী ঘটছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে?

Last Updated:

Durgapur Kumartuli: অতীতের একাধিক দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভোগ কাটিয়ে খুশির হাওয়া দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে। নতুন প্রজন্ম মৃৎশিল্পে আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রতিমা তৈরির জন্য তাঁরাও কাদামাটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ফলে মৃৎশিল্পীদের সহযোগী শিল্পী বা সহকারী শিল্পীর অভাব ঘুচতে চলেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরকার: অতীতের একাধিক দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভোগ কাটিয়ে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে এবার এক নতুন আশার আলো দেখছেন মৃৎশিল্পীরা। অতীতে এই অঞ্চলের মৃৎশিল্পীরা সহযোগী শিল্পী বা সহকারী শিল্পীর অভাবে বিপাকে পড়তেন। শিল্পাঞ্চলে পাল্লা দিয়ে প্রতিটি পুজোর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটির প্রতিমার চাহিদাও বেড়েছে। ফলে সুখ্যাত মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা গড়ার বায়না পেলেও সহযোগী শিল্পীর অভাবে বহু বায়না ফিরিয়ে দিতেন। বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই প্রতিমা তৈরি করতে তাঁরা হিমশিম খেতেন। তবে বর্তমানে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে একেবারেই উলটো চিত্র।
advertisement

মৃৎশিল্পীদের দাবি, নব প্রজন্ম মৃৎশিল্পে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারা মৃৎশিল্পী হতে এবং ভাল রোজগার করতে প্রতিমা গড়ার দিকে ঝুঁকছে। ফলে পুজোর মরশুমে প্রতিমার চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও এবার সহযোগী শিল্পী ও কারিগরের অভাব নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুনঃ ‘সিপিএম আমলে টিকটিকি, গিরগিটি, পিঁপড়ের ডিম খেয়েছে মানুষ, উন্নয়ন দিদির হাতেই’! ছাব্বিশের ভোটের আগে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সাংসদ শর্মিলা সরকারের

advertisement

এই পরিবর্তন মৃৎশিল্পের জন্য এক সুসংবাদ বয়ে আনছে। নব প্রজন্মের এই আগ্রহ মৃৎশিল্পের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক। এই পরিবর্তন দুর্গাপুরের কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের জন্য যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহরতলী জুড়ে শতাধিক মৃৎশিল্পী রয়েছেন। নিজস্ব এলাকায় তাঁদের প্রতিমা গড়ার কারখানা রয়েছে। শহরের বুকে টাউনশিপের ট্রাঙ্করোড এলাকায় একসঙ্গে প্রায় ১৫টি কারখানা নিয়ে গড়ে উঠছে কুমোরটুলি। প্রায় ১৫ বছরের ওই কুমোরটুলির মৃৎশিল্প ইতিমধ্যেই জেলা-সহ ভিনজেলায় সুনাম অর্জন করেছে। দিনে দিনে যেমন পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই এই শিল্পের বাজারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ সাবধান! লাঠি, লোহার রড ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোলেই…! শিশু ও বৃদ্ধদের দেখলেই তেড়ে আসছে সে, আহত বহু, নয়া ত্রাস পুরুলিয়ায়

কিন্তু নতুন প্রজন্মের এই কাজে অনিহা সমস্যায় ফেলছিল মৃৎশিল্পীদের। যার ফলে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী, সরস্বতী-সহ একাধিক প্রতিমার চাহিদা মেটাতে ভিনজেলা থেকে প্রতিমা নিয়ে আসতে হত। প্রতিমার চাহিদা পূরণ করতে পারেনি স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের দাবি, সহযোগী শিল্পীর অভাবের কারণেই এমন নানান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

দুর্গাপুরের কুমোরটুলির খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী অভিজিৎ পাল জানান, নতুন প্রজন্মের যুবকরা কেউই প্রতিমা তৈরির জন্য কাদামাটির কাজ করতে চায় না। তাই বছরের পর বছর এই কাজে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহী করতে পারছিলাম না। কাজ করলে তো অর্থ উপার্জন হবেই। কিন্তু তাঁরা এই কাজ শুনলেই মুখ ফিরিয়ে নিত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
গ্রুপ ডি কর্মী সংকট! সরকারি স্কুলে এবারে 'এই' কাজ করবে রোবট 'সানন্দা', কী কাজ করছে? জানুন
আরও দেখুন

বর্তমানে পুজোর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শিল্পীদেরও প্রতিমা গড়ার চাপ বাড়ছে। কিন্তু সহযোগী শিল্পী না থাকায় প্রতিমা বায়না নেওয়া হত না। কয়েক বছর ধরে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে। বহু যুবক মৃৎশিল্পে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাঁরা কাজেও লাগছেন। ফলে সকল মৃৎশিল্পীরা একটু হলেও স্বস্তি ফিরে পাচ্ছে।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দুশ্চিন্তা কাটিয়ে নতুন আশার আলো! চেনা ছবি বদলে একেবারে উলটো চিত্র কুমোর পাড়ায়, ঠিক কী ঘটছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলিতে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল