মৃৎশিল্পীদের দাবি, নব প্রজন্ম মৃৎশিল্পে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারা মৃৎশিল্পী হতে এবং ভাল রোজগার করতে প্রতিমা গড়ার দিকে ঝুঁকছে। ফলে পুজোর মরশুমে প্রতিমার চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও এবার সহযোগী শিল্পী ও কারিগরের অভাব নেই বললেই চলে।
advertisement
এই পরিবর্তন মৃৎশিল্পের জন্য এক সুসংবাদ বয়ে আনছে। নব প্রজন্মের এই আগ্রহ মৃৎশিল্পের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক। এই পরিবর্তন দুর্গাপুরের কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের জন্য যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহরতলী জুড়ে শতাধিক মৃৎশিল্পী রয়েছেন। নিজস্ব এলাকায় তাঁদের প্রতিমা গড়ার কারখানা রয়েছে। শহরের বুকে টাউনশিপের ট্রাঙ্করোড এলাকায় একসঙ্গে প্রায় ১৫টি কারখানা নিয়ে গড়ে উঠছে কুমোরটুলি। প্রায় ১৫ বছরের ওই কুমোরটুলির মৃৎশিল্প ইতিমধ্যেই জেলা-সহ ভিনজেলায় সুনাম অর্জন করেছে। দিনে দিনে যেমন পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই এই শিল্পের বাজারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু নতুন প্রজন্মের এই কাজে অনিহা সমস্যায় ফেলছিল মৃৎশিল্পীদের। যার ফলে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী, সরস্বতী-সহ একাধিক প্রতিমার চাহিদা মেটাতে ভিনজেলা থেকে প্রতিমা নিয়ে আসতে হত। প্রতিমার চাহিদা পূরণ করতে পারেনি স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। তাঁদের দাবি, সহযোগী শিল্পীর অভাবের কারণেই এমন নানান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুরের কুমোরটুলির খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী অভিজিৎ পাল জানান, নতুন প্রজন্মের যুবকরা কেউই প্রতিমা তৈরির জন্য কাদামাটির কাজ করতে চায় না। তাই বছরের পর বছর এই কাজে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহী করতে পারছিলাম না। কাজ করলে তো অর্থ উপার্জন হবেই। কিন্তু তাঁরা এই কাজ শুনলেই মুখ ফিরিয়ে নিত।
বর্তমানে পুজোর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শিল্পীদেরও প্রতিমা গড়ার চাপ বাড়ছে। কিন্তু সহযোগী শিল্পী না থাকায় প্রতিমা বায়না নেওয়া হত না। কয়েক বছর ধরে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে। বহু যুবক মৃৎশিল্পে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাঁরা কাজেও লাগছেন। ফলে সকল মৃৎশিল্পীরা একটু হলেও স্বস্তি ফিরে পাচ্ছে।