দিনের পর দিন সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে একের পর এক যৌন-নিগ্রহের মত ঘটনা। তার মধ্যে বাদ যায় না শিশুদের শারীরিক নিগ্রহও। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের কোন অসাধু ব্যক্তির ভাবভঙ্গি কিংবা তাদের উদ্দেশ্য বোঝার সম্যক ধারণা থাকলেও ছোট ছোট শিশুদের তা বোঝার ধারণা জন্মায় না, তবে শরীরের বেশ কিছু স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করলে তারা বুঝতে পারে তার সঙ্গে কিছু একটা খারাপ হচ্ছে, কিন্তু কখনও পারিপার্শ্বিক চাপ কিংবা ভয়ে তারা সেগুলি বলে উঠতে পারে না তাদের অভিভাবকদের। সেই সম্পর্কেই ধ্যান ধারণা দেওয়ার জন্য স্কুলের এই উদ্যোগ বলে জানা যায়।
advertisement
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা গোস্বামী সেন বলেন, “সোমবার পাঁচজন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের বাবা এবং মা উভয়কে নিয়েই এই সচেতনতার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই আমাদের ছেলেমেয়েরা কোন এক প্রাইভেট টিউটরের কাছে যেতে চাইছে না। কিংবা পাড়ার কোন দোকানে কিংবা আত্মীয় বা প্রতিবেশী কারো কাছে যেতে অনীহা বোধ করছে, যেহেতু তারা সঠিকভাবে তাদের সমস্যা বোঝাতে পারছে না তাদের অভিভাবকদের সেই কারণে অভিভাবকেরাও সেটি এড়িয়ে যান। আসল কারণ খুঁজে পান না তারা। সেই কারণেই আমাদের এই উদ্যোগ। শুধু ভাল এবং খারাপ স্পর্শই নয়, অনেক সময় দেখা যায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে বাড়িতে তাদের অভিভাবকেরা কিংবা বাইরে যুবক যুবতীরাও কটু ভাষা অর্থাৎ গালিগালাজ ব্যবহার করেন তাদের কথার মধ্যে। সেই কটু ভাষাটি সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও ছোট ছোট শিশুরা সেই বাক্য তাদের সামাজিক জীবনে ব্যবহার করে থাকে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও এদিন আলোচনা করা হয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের সচেতনতার আলোচনা শিবির করব এবং আমাদের ইচ্ছে রয়েছে শান্তিপুর শহর এবং গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়, তারা যদি আগ্রহ প্রকাশ করে আমরা সেখানে গিয়েও শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এই আলোচনা শিবির আয়োজন করব।”
Mainak Debnath





