আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির দিন শেষ! সূর্যের তাপের কামড়ে অসহ্য জ্বলুনি শুরু শুক্র থেকে! জেলায় জেলায় হিটওয়েভ সতর্কতা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২০১০ সালের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ২৫৯টি ‘অসামরিক প্রতিরক্ষা জেলা’ বা ‘সিভিল ডিফেন্স ডিস্ট্রিক্ট’ রয়েছে। তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গের ৩১টি জায়গাও।কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে মহড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই প্রথম দেশ জুড়ে এমন অসামরিক মহড়া হয়।
advertisement
তবে, অনেকেই জানেন না এই মকড্রিল আসলে কী!মক ড্রিল হলও একটি অনুশীলন বা মহড়া যা কোনওজরুরি পরিস্থিতি বা দুর্যোগের সময় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়, তা অনুশীলন করার জন্য করা হয়।এটি মূলত একটি অনুকরণীয় পরিস্থিতি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া দক্ষতা যাচাই করে। তবে ১৯৭১ সালে যখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তখনকার সেই অবস্থা কেমন ছিল।
সেই বিষয়ে জানালেন বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা অমিতাভ হালদার। অমিতাভ হালদার জানান ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ লাগে তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন আর সেই সময় বাড়ির লাইট বন্ধ করে রাখতে হত। সেই সময় পাড়ার দাদারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পাড়া টহল দিতেন। আর তখনই কোন কারণবশত হাওয়াতে অমিতাভ হালদারের বাড়ির জানলা খুলে যায় আর সেখানেই পাড়া-প্রতিবেশিরা দেখতে পান জানলার ফাঁক দিয়ে বের হচ্ছে হ্যারিকেনের আলো। তখনই ধমক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই জানলা। তবে ১৯৭১ সালের পর আজকে ২০২৫ সাল।
এখন এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করা উচিত এই বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। বাড়িতে অন্ততপক্ষে দুই মাসের জন্য ওষুধ,গ্যাস, প্রয়োজনীয় খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় জিনিসপত্র তুলে রাখা প্রয়োজন। এবং তারই সঙ্গেকেন্দ্র সরকার যে সমস্ত নির্দেশ দিচ্ছেন সেই সমস্ত নির্দেশ মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন।
সৌভিক রায়





