পুণ্যতিথি অথবা অঞ্চল ভিত্তিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে শিশুদের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ‘তিথি ভোজন’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দৈনিক সরকারি খরচে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের যেমন মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয় তেমন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা কিংবা কোনও অভিভাবক, তাঁদের সন্তানের জন্মদিন, বিবাহ, বিবাহ বার্ষিকী বা যে কোনও আচার -অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের কিছু খাওয়াতে চান, সেক্ষেত্রে স্কুলের অনুমতি নিয়ে তাঁরা তা করতে পারবেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে সংশ্লিষ্ট স্কুলেরই শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অভিভাবকরা একাজ করতে পারবেন তেমনটা নয়। বাইরেরও যে কেউ যদি ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়াতে চান, তাঁরাও স্কুলের অনুমতি সাপেক্ষে সেকাজ করতে পারবেন। ফলে, ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়াতে তাঁরা যে টাকা দেবেন, সেই অর্থ সেদিনের মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত করে ছাত্র ছাত্রীদের আরও ভাল ভাবে খাওয়ানো হবে। সরকারিভাবে এই উদ্যোগের নামকরণ করা হয়েছে ‘তিথি ভোজ’।
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক হিরন সেখ বলেন, “ বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে এক ঘেঁয়েমি খাবার খেয়ে যাতে স্কুলের প্রতি পড়ুয়ারা আগ্রহ না হারায় তাই ভিন্ন স্বাদের পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে এই উদ্যোগ। পাশাপাশি স্কুলছুট বা ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি যাতে বৃদ্ধি পায় সেই দিকটিও সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ। ”
আরও পড়ুন: সকালে খান ছোলা ও গুড়! এক মাসে ওজন কমে রোগা হয়ে যাবেন! উপকার জানলে রোজ খাবেন
এদিন ‘তিথি ভোজ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জানবাস শেখ সহ নবদ্বীপ ব্লকের বিভিন্ন আধিকারিক সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক গন। তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে এলাকার অভিভাবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষজন এই ‘তিথি ভোজন’ বিষয়টি জানতে পেরে আরো উৎসাহিত হবেন । ফলে এর সঙ্গে যুক্ত ছাত্র ছাত্রীরা উপকৃত হবে।’ উল্লেখ্য, সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক স্কুল, শিশুশিক্ষাকেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়। এজন্য প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য দৈনিক মাথাপিছু ৬ টাকা ১৯ পয়সা ও হাইস্কুলের জন্য মাথাপিছু ৯ টাকা ২৯ পয়সা খরচ দেয় সরকার।





