মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শিল্পায়নের লক্ষ্যে রেজিনগর পরিদর্শনে জেলাশাসক, জমির দামে মিলল বড় ছাড়। গত ৪ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসেছিলেন। তার পাঁচ দিনের মাথাতেই মুর্শিদাবাদে শিল্পায়নের গতি বাড়াতে কোমর বেঁধে নামল জেলা প্রশাসন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় শিল্পের প্রসারে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে পাথেয় করে রেজিনগর শিল্পতালুক পরিদর্শনে যান খোদ জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। সঙ্গে ছিলেন একঝাঁক শিল্পপতি এবং প্রশাসনিক কর্তারা। এদিন শিল্পপতিদের আকৃষ্ট করতে জমির দামে বড়সড় ছাড়ের ঘোষণাও করা হয় প্রশাসনের তরফে। এদিন বেলা ২টো নাগাদ জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া রেজিনগর শিল্পতালুকে পৌঁছন।
advertisement
১৮৩ একর জুড়ে বিস্তৃত এই বিশাল শিল্পতালুকের পরিকাঠামো তিনি নিজেই ঘুরে দেখেন। জেলা শাসকের সঙ্গে ছিলেন বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও তুহিন কান্তি ঘোষ, রেজিনগর থানার ওসি উৎপল দাস এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জেলাশাসকের এই পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন আগ্রহী শিল্পপতি। প্রশাসনের উদ্যোগে বাইরে থেকেও শিল্পপতিদের নিয়ে আসা হয়েছিল যাতে তাঁরা সরেজমিনে জায়গার অবস্থান ও সুবিধা খতিয়ে দেখতে পারেন। শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই জমির চড়া দাম হয়ে দাঁড়ায় বাঁধা। সেই সমস্যা সমাধানে এবং বড় বিনিয়োগ টানতে এদিন জেলাশাসক জমির দরে বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে সমস্ত শিল্পপতিরা ৩০ বিঘার বেশি জমি নেবেন, তাঁদের জন্য বিশেষ কনসেশন বা ছাড় দিয়ে জমির দাম ধার্য করা হয়েছে। ৩০ বিঘার উপরে কাঠা প্রতি ৭০ হাজার টাকা, যারা ৩০ বিঘার নিচে জমি নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে জমির দাম ধার্য করা হয়েছে কাঠা প্রতি ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। প্রশাসনের আশা, জমির দামে এই বিভাজন এবং ছাড় বড় শিল্পপতিদের মুর্শিদাবাদে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ জোগাবে। পরিদর্শন চলাকালীন উপস্থিত শিল্পপতিরা জায়গার অবস্থান নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। তাঁরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলাশাসক আলোচনার ভিত্তিতে তাঁরা জেলায় শিল্প স্থাপনে আগ্রহী। পরিকাঠামো এবং প্রশাসনিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে তাঁরা শীঘ্রই জমি নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রেজিনগর শিল্পতালুককে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারলে জেলার হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে। গত ৪ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যে জেলার অব্যবহৃত জমিগুলিকে শিল্পের কাজে লাগাতে হবে। সেই নির্দেশের পাঁচ দিনের মাথায় জেলাশাসকের এই ‘ফিল্ড ভিজিট’ বা পরিদর্শন। জেলাবাসীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করল।





