মকর সংক্রান্তির আগের দিন বাজার ,হাট থেকে টুসু কিনে নিয়ে আসে জঙ্গলমহলের মূলবাসী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। তারপর নানা পুজোর সামগ্রী দিয়ে সারা রাত ধরে টুসুর পুজো করা হয়। মহিলারা রাত জেগে করে টুসু গান। তারপরের দিন সকালবেলায় মকর সংক্রান্তির পূর্ণ স্নান করার সময় টুসুকে বিসর্জন দেওয়া হয়। কেবলমাত্র বছরের একটা সময় এই টুসুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বছরের কেবলমাত্র একটা সময় লালগড় ব্লকের কেন্দডাংরি গ্রামের ১০ থেকে ১৫টি পরিবার টুসু তৈরি করে থাকে। এই বছরও টুসুর চাহিদা ভাল রয়েছে। মহাজনদের কাছ থেকে অগ্রিম বুকিং পাওয়ায় দিবারাত্রি এক করে বাড়িতে বাড়িতে চলছে টুসু তৈরির কাজ। কাঠ ও মাটি দিয়ে টুসুকে তৈরি করে প্রথমে শুকনো করা হয়। তারপর রং করে নানা গয়না পরিয়ে সাজ সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয় টুসু মনিকে। মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই বিভিন্ন বাজার ও হাটে বিক্রির জন্য কেন্দডাংরি গ্রাম থেকে টুসু রপ্তানি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রোজ একটা টম্যাটো খেলে কি হবে জানেন? চিকিৎসকের মত জানলে চমকে যাবেন
কেন্দডাংরি গ্রামের মধুসূদন দাস বলেন, “বংশ পরম্পরায় দীর্ঘদিন ধরে আমরা টুসু তৈরি করে আসছি। বছরের কেবলমাত্র একটা সময় টুসুর চাহিদা থাকে। প্রচুর পরিমাণে টুসু বিক্রি হয়। তাই আগে থেকেই টুসু তৈরি করতে হয়। লালগড়, ঝাড়গ্রাম বেলপাহাড়ি সহ বিভিন্ন বাজারে আমাদের টুসু চলে যায়। টুসু বিক্রি করে ভাল একটা অর্থ উপার্জন করাও যায়”। কেন্দডাংরি গ্রামের ১০ থেকে ১৫ টি পরিবার মকর সংক্রান্তির সময় টুসু বিক্রি করে ভাল অর্থ উপার্জন করে থাকে।
বুদ্ধদেব বেরা