অন্যদিকে ব্যাধ বাড়িতে না আসায় সারারাত স্বামীর চিন্তায় না ঘুমিয়ে তিনিও শিবের নাম জপ করেন। পরেরদিন সকালবেলায় যখন ভোরের আলো ফুটলো তখন গাছ থেকে নেমে দেখলেন তিনি যে গাছে বসেছিলেন সেই গাছটা ছিল বেল গাছ। আর তিনি সারারাত জেগে ইষ্ট দেবতার শিবের জন্য যে পাতাগুলো ফেলেছিলেন সেটা ছিল বেলপাতা। ব্যাধ বাড়ি ফিরলেন তার স্ত্রী তার স্বামীর মুখের সমস্ত কথা শুনে তিনি স্বামীর ফিরে আসার আনন্দে চোখে জল আটকাতে পারলেন না। যেহেতু তিনি উপবাস ছিলেন সেই জন্য স্বামীকে খাবার দেওয়ার পর তিনি জলস্পর্শ করেন। সেই থেকেই শুরু হয় শিবরাত্রি ব্রত।
advertisement
আরও পড়ুন: যেমন টেকসই, তেমনই করে টাকা সাশ্রয়! রাস্তা নিয়ে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল নদিয়া প্রশাসন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একই রকম ভাবে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিব নিবাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র শিবনিবাসে মারাঠা বর্গীয় দস্যুর আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করবার জন্য তিনি মানত করেন। যদি তিনি মারাঠা দস্যু নসরৎ খাঁকে পরাস্ত করতে পারেন তাহলে তিনি উপবাস থেকে শিব নিবাস মন্দিরে শিবরাত্রি ব্রত পালন করবেন। এরপর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে মারাঠা দস্যুর নস্যাৎ খান সামনাসামনি যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে দস্যু নসরত খাঁ পরাজিত হয়। মনষ্কামনা পূর্ণ হওয়ায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নির্জলা উপবাস থেকে এই শিবরাত্রিতে শিবনিবাসের এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গে জল ঢালেন ও পুজো দেন। সেই থেকেই শিবনিবাসে শিবরাত্রি চালু হয়।
Mainak Debnath





