সাফাই কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্সের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কৃষ্ণনগর পৌরসভা। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স খোলার পরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সাফাই কর্ম বন্ধ রেখেছে পৌরসভার সাফাই কর্মীরা। বিগত পাঁচ দিন কেটে গেল এখনও পর্যন্ত কোনরকম সুরাহা না মেলায় রীতিমত স্তব্ধ কৃষ্ণনগরের প্রতিটি ওয়ার্ডের জঞ্জাল পরিষ্কার। এবার এলাকার জঞ্জাল নিজেই পরিষ্কার করলেন কৃষ্ণনগর পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বলা ঘোষ হালদার ও তার স্বামী রূপ ঘোষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও নেওয়া হল ক্লাস! কারণ জানলে আপনিও এমন ক্লাসে ছুটে যাবেন
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে এই বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চালু করার পরেই পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। পরবর্তীতে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন। এর ফলেই কৃষ্ণনগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বন্ধ হয়ে গেছে সাফাই অভিযান। গৃহস্থালির উচ্ছিষ্ট রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমা হয়ে বিকট দুর্গন্ধ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এবার তাই এলাকা পরিষ্কার রাখতে নিজের হাতে ঝাঁটা তুলে সাফাই অভিযানে নামল খোদ কাউন্সিলর এবং তার স্বামী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বলা ঘোষ হালদার জানান, এদিন সকালে সাফাই কর্মীদের তিনি ফোন করেছিলেন কিন্তু তারা জানিয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ রেখেছেন তারা তাই কাজে আসবেন না। অপরদিকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন তিনি। তাই নাগরিক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় এবং এলাকার পরিবেশ যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সে কারণেই নিজে ঝাঁটা তুলে রাস্তা পরিষ্কার এবং তার স্বামী রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার করতে নামলেন। যদিও পৌরসভার পৌরপতির কাছে কাউন্সিলারের আবেদন অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করে নাগরিক পরিষেবা যাতে বিচ্যুত না হয় সেই ব্যবস্থা করুক পৌরসভার পৌরপতি। যদিও এলাকাবাসীর দাবি উজ্জ্বলা ঘোষ হালদার তার নাগরিক পরিষেবাতে কোনরকম বিচ্যুতি রাখেন না সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তিনি তার কর্মকান্ড করেন। তাই তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারাও।
Mainak Debnath





