ঘটনাটি হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকার। যা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কী ভাবে তারা এই আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড তৈরি করল? শুধু আধার কার্ড, ভোটার কার্ডেই থেমে নেই দুই ভাই, তৈরি করে ফেলেছে প্যান কার্ডও। কীভাবে তারা দুই দেশের নাগরিকত্ব পেল? তাহলে কি অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্যই যে দালাল চক্রের রমরমা, তা পরিষ্কার হয়ে গেল? তাহলে কি অর্থের বিনিময়ে অনায়াসেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাচ্ছে? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাশ এবার কার হাতে যাবে? বুধে বেরল একটি রায়, মোটামুটি ঠিক হয়ে গেল বাংলাদেশের ‘ভবিষ্যৎ’!
অভিযোগকারী ওই দুই যুবকের পিসতুতো বোন সীমা দাস জানান, ”ওরা আমার সম্পর্কে মামার ছেলে। মামার দুই ছেলের বাংলাদেশে জন্ম। তার দুই ছেলে বাংলাদেশেই থাকেন। একজন জয়ন্ত সিংহ রায়, অপরজন হেমন্ত সিংহ রায়। ওরা দুজন আমাদের দেশে এসে ভারতের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড দুটোই করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ওরা বাংলাদেশেই থাকে। পাসপোর্টে যাতায়াত করে। প্রায় বছর দুয়েক আগে এগুলি তারা তৈরি করেন। একজনের নাম তাও বর্তমানে কাটা গিয়েছে। কিন্তু হেমন্ত সিংহ রায়ের নাম এখনও আছে। কিন্তু বাবার নাম রয়েছে নিমাই পদ সিংহ রায়ের জায়গায়, নিতাই পদ সিংহ রায়, যিনি কিনা জ্যাঠামশাই হয়। বাংলাদেশে তারা থাকা সত্ত্বেও এদেশে আসছে এবং জমি জায়গা বিক্রি করছে এবং গোপনে সেই টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে দুজন বাংলাদেশেই রয়েছে। চিকিৎসার নাম করে এই দেশে এসে জমি জায়গা বিক্রি করে আবার ফিরে যান।এ বিষয়ে হাঁসখালি ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিশির রায় জানান, ”এইরকম উদাহরণ শুধু একটি ব্যক্তি কিংবা একটি পরিবারের বিষয় নয়, ভোটার লিস্ট নিয়ে আমরা সবসময় নাড়াচাড়া করি, এরকম ভুল ভ্রান্তি অনেক রয়েছে। তবে এগুলি ভুল ভ্রান্তি নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, le তদন্ত হওয়া উচিত এবং সত্যতা যাচাই করে যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে সেইসব নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত নয় এবং সেগুলি বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত।”
—– Mainak Debnath