আটক হওয়া মৎস্যজীবীদের বাড়ি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার পূর্বচন্ডীপুরে। কিছু মৎস্যজীবীর বাড়ি ফিরোজপুর ও জিয়ানগরেও। ট্রলার ‘মায়ের দোয়া’ আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করলেই সক্রিয় হয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। দ্রুত ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর তাদের আটক করে নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জে। সেখান থেকে তাদের হস্তান্তরিত করা হয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায়। বর্তমানে তাদের সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
advertisement
এ বছর আবহাওয়া খারাপ থাকা ও অন্যান্য কারণে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করায় বাংলাদেশে মোট ৩টি ভারতীয় ট্রলার ও ৪৮ জন মৎস্যজীবী আটক রয়েছেন। ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এবার বাংলাদেশের ট্রলার ধরা পড়ায় কী প্রতিক্রিয়া মেলে সেটাই দেখা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে ওই ট্রলারটি ভারতীয় জলসীমায় এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এবার স্কুলে দেখানো হবে মোদির ছেলেবেলার কাহিনি নিয়ে সিনেমা! CBSE-কে বড় নির্দেশ কেন্দ্রের
ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এরপর তাদের কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে। খবর দেওয়া হবে বাংলাদেশেও। এই মুহূর্তে তাদেরকে থানায় আনা হয়েছে। গত বছর এভাবেই দুই দেশের মৎস্যজীবীদের ধরা পড়ার পর তাদের বাড়ি ফেরানো হয়েছিল প্রশাসনিকভাবে। এ বছর ধরা পড়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। এখন রয়েছে অপেক্ষার পালা।