ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাব কেটে গেলে বঙ্গে ধীরে ধীরে শীত ফিরবে। বছরের এই সময়ে কুলো, ঝুড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশের জোগান বাড়ে। তাই পাইকর থানার জাজিগ্রামের বাসিন্দাদের বাঁশের নানা জিনিস তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়।
advertisement
বীরভূমের এই গ্রাম মূলত কৃষিপ্রধান। পাশাপাশি বাঁশ কেটে নানা জিনিসও তৈরি করেন অনেকে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই সময়ে বাঁশ ও বেতের তৈরি জিনিসের চাহিদা মুর্শিদাবাদে বেশি থাকে। পাশের জেলায় বিশেষ করে বিড়ি বাঁধার কুলোর চাহিদা আছে। তাই জাজিগ্রামের ঘরে ঘরে ব্যস্ততা বেড়েছে।
সকাল থেকে বাঁশ কাটা, চাঁচা, বাঁধা, শুকানো শুরু হয়। সংসারের কাজ শেষ করে বাড়ির উঠোন বা মেঠোপথের পাশে বাঁশের সামগ্রী বানাতে বসে পড়েন নারীরা। ছোট ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনার ফাঁকে এই কাজে তাঁদের সাহায্য করেন। এলাকার বাসিন্দা রুমেলা বিবি জানান, “প্রায় ৩০ বছর থেকে এই কাজ করছি। একটি কুলো, ঝুড়ি বিক্রি করে ৭০-৮০ টাকা মেলে। সংসারে কিছুটা হলেও সুরাহা হয়।” আবার অনেকের মতে, বাজারে এখন প্লাস্টিকের পণ্যের চাহিদাই বেশি। ফলে দিন দিন বাঁশের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমছে। সেই সঙ্গেই বাঁশের দামের সঙ্গে পণ্যের দাম না বাড়ায় লাভের মুখ দেখছেন না কারুশিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাড়ির উঠোনে কাজ করতে করতে সুপ্রিয় মাল বলেন, “এটা আমাদের বাপ-দাদার পেশা। তাই আঁকড়ে ধরে আছি। তবে ছেলেরা এখন আর এই পেশায় কাজ করতে চায় না। পরিশ্রম বেশি, কিন্তু লাভ একটু কম, কোনওভাবে সংসার চলে যায়।”







