উত্তরে ব্রাহ্মণী, দক্ষিণে ময়ূরাক্ষী। রয়েছে দ্বারকা নদও। মাঝামাঝি এলাকায় ময়ূরেশ্বর হওয়ায় জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি চাষযোগ্য জমি এখানে। এই কৃষিপ্রধান এলাকায় এখন বোরো ধান কাটার মরশুম। তবে যুগ বদলেছে। এখন ধান কাটার জন্য শ্রমিকের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে হারভেস্টর। এর ফলে অনেক কম সময়ে কাটা হয়ে যাচ্ছে বিঘা পর বিঘা ধান। এরপর জমিতে ট্রাক্টর নামিয়ে ধান ভরতি বস্তা বোঝাই করে কৃষকরা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, জমির কাদা লেগে থাকা অবস্থায় হারভেস্টর ও ট্রাক্টরগুলি গ্রামীণ ও রাজ্য সড়ক ধরে যাতায়াত করছে।
advertisement
চাকা থেকে ঝরে পড়ে কাদায় ভরে যাচ্ছে রাস্তা। সেই কাদা পথচারী ও বাইক চালকদের কাছে বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাদায় চাকা পড়ে পিছলে ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে বৃষ্টি হলে সেই কাদা পিছলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে আরও। আবার চড়া রোদে সেই কাদা শুকিয়ে ধুলোময় হয়ে উঠছে রাস্তা। রাস্তার ধারের বসবাসকারীদের দরজা, জানালা খোলাই দায় হয়ে পড়েছে। ময়ূরেশ্বরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে এই নিয়ে অভিযোগ আসতে থাকে পুলিশের কাছে।
দিন দুই আগে বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় কাদা-মাটির কারণে একাধিক বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাইক আরোহীরা জানান, কাদাযুক্ত রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। রাস্তা পিছল হওয়ায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না। সেই কারণে গতিও কমাতে হচ্ছে। পাঁচ কিমি রাস্তা পেরতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাইকের বারবার ব্রেক ধরার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে পেট্রোলের খরচ বাড়ছে।
সৌভিক রায়






