শারদীয়া থেকেই কুন্ডু চৌধুরী বাড়িতে রাস উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হত। বাড়ির উত্তর দিকের আটচালায় শিল্পীরা মডেল তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকত। তখন থেকেই শিশুদের উৎসাহ দেখা যেত। কয়েক মাস আগে থেকে রাস প্রাঙ্গণ সাজাতে নানা গাছ পরিচর্যা করা হত এখানেই। সে সময় একমাস ব্যাপী চলত রাস উৎসব। সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হত। বর্তমানে কুণ্ডু চৌধুরী বাড়ির রাস উৎসবে কিছুটা জৌলুস কম হয়েছে। ৩ শতাব্দী প্রাচীন এই রাষ্ট্র উৎসবে গোটা জেলার মানুষের আকর্ষণ থাকে প্রতিবছর। রাস উৎসবের বিভিন্ন প্রদর্শন সঙ্গে আলোকসজ্জা। বাড়ির বাইরে মাঠে মেলার পসরা।
advertisement
আরও পড়ুন – Knowledge Story: জামায় লাগান, আর কোনও গুরুত্ব নেই! জানেন ফেলনা নয়, বোতামেরও রয়েছেন নিজের দিন
মহিয়াড়ী কুন্ডুচৌধুরী বাড়িতে সারাবছর দুর্গাপুজো রথযাত্রা রাসের মত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এই সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য এস্টেট গঠন করা হয়েছে। নানা কারণে উৎসবের বহর কম হয়েছে। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে কাটছাঁট হলেও, বাড়ির ঐতিহ্যমেনে প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠান পালন করা হয় মাহিয়াড়ী কুন্ডুচৌধুরী বাড়িতে। বর্তমান সময়ে রাসের উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয় কালীপুজোর পর থেকে। নিয়ম মেনে তিনদিন পুজো এবং দশ থেকে পনেরো দিন থাকে রাস উৎসব। সারা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই কয়েকটা দিন মানুষ এসে ভিড় জমায় রাস উৎসবে।
এ প্রসঙ্গে কুন্ডু চৌধুরী বাড়ির সদস্য অমিতাভ কুন্ডুচৌধুরী জানান, সে সময় কুন্ডু চৌধুরী বাড়ির রাস মানে জেলা ও জেলার বাইরের মানুষের ভীষণ আকর্ষণের। প্রায় একমাস বিভিন্ন যাত্রার দল এসে কুন্ডু চৌধুরী বাড়িতে হাজির হত রাস উপলক্ষে। বাড়ির উঠোনেই বসত রাসের আসর। রাসের কিছুটা জৌলুস কমলেও আজও বহু মানুষের আকর্ষণ এই রাস উৎসব।
Rakesh Maity





