এরপরেই একটি নির্দিষ্ট ছিদ্র করে সেখানে গুঁজে দেওয়া হচ্ছে গ্যাস জ্বালানোর লাইটার। সেই লাইটারে চাপ দিলেই হচ্ছে বিস্ফোরণ। চলতি বছর দীপাবলীর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই কার্বাইড গান বেশ ট্রেন্ডিং এ রয়েছে। আর এই কার্বাইড গান এর ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এখনও পর্যন্ত ১২ জনেরও বেশি। প্রশাসন সূত্রে খবর গোটা বীরভূম জুড়ে আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জনেরও বেশি।
advertisement
এবারের দীপাবলিতে আতশবাজির মধ্যে ‘হিট’ বাজি ছিল কার্বাইড গান বা এগ্রি-ক্যানন। এই বাজি ফাটাতে গিয়েই এহেন ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছে শিশুসহ যুবকেরা। অনলাইনে দেদার বিক্রি হচ্ছে কার্বাইড গান, পিভিসি মাঙ্কি রিপেলার গান হিসাবে। এই বছর অনেকে বাজির বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন এই বন্ধুক। অনলাইনে যেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দাম, সেটাই খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়।
তবে কী এই গান! কার্বাইড গান মূলত কৃষকরা ক্ষেত থেকে বাঁদর ও পাখি তাড়াতে ব্যবহার করে থাকেন। যা ক্যালসিয়াম কার্বাইড, গান পাউডার ও দেশলাইয়ের উপরের অংশ দিয়ে তৈরি হয়। এর মধ্যে জল দিলে ক্যালসিয়াম কার্বাইড অ্যাসিটিলিন গ্যাস উৎপাদন করে, যার জেরে তীব্র বিস্ফোরণ হয়।
এই বিস্ফোরণের ফলে প্রচন্ড উত্তাপ তৈরি হয়, এর সঙ্গে ছড়ায় বিষাক্ত গ্যাস। ভেঙে টুকরোও ছিটতে পারে চোখে-মুখে। বীরভূমে সেটাই হয়েছে।অধিকাংশেরই অ্যালকালাই ইনজুরি হয়েছে, যার কারণে স্থায়ী বা চিরতরে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে আপনাদের বাড়ির ছেলে অথবা মেয়েদের এই সমস্ত কার্বাইড গান থেকে দূরে রাখার জন্য।
Souvik Roy






