এই বই পার্বণ উৎসবে খেজুরির আঞ্চলিক বইকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। খেজুরি ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতির উদ্যোগে এই বই পার্বণ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে এলাকার কয়েকটি সংগঠন ও পত্র পত্রিকা।
advertisement
পাঁচ বছর ধরে নিজের এলাকার ইতিহাসকে জীবিত রাখতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে খেজুরির ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এই বই পার্বণ উৎসব করে আসছে খেজুরি ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতি। প্রতি বছর দীপাবলি থেকে শুরু হয় এই উৎসব। পাঁচদিন ধরে চলে খেজুরির আঞ্চলিক বই প্রদর্শন, বিক্রয়, গ্রন্থ প্রকাশ, শিশু কিশোর আর্ট গ্যালারি, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, শিশু কিশোর সম্মেলন থেকে শুরু করে সাহিত্য আড্ডা।
খেজুরির বাঁশগোড়ায় প্রতি বছরের মতো এই বছরও বই পার্বণের আয়োজন করা হয়েছে। বই পার্বণ উৎসবে বেশ ভাল সাড়াও মিলছে। প্রতিদিনই শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বড়রা নিজেদের আঞ্চলিক ইতিহাসের বই কিনছেন। এই উদ্যোগে স্থানীয়রাও খুশি।
আয়োজক সংস্থার অন্যতম জয়দেব মাইতি বলেন, “আমরা চাই বর্তমান প্রজন্ম খেজুরির ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোক। বই পার্বণ শুধুমাত্র বই পড়ার উৎসব নয়, এটি আমাদের ইতিহাসকে ধরে রাখার এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকে পরিচিত করার এক অনন্য প্রচেষ্টা। এই উৎসবের মাধ্যমে আমরা চাই শিশু-কিশোররা আঞ্চলিক সাহিত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে আরও সচেতন হোক এবং তাঁদের সৃজনশীলতা বিকশিত হোক। স্থানীয় মানুষরা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে নিজেদের পরিচয় ও ঐতিহ্যের সঙ্গে গর্ব বোধ করছেন।”
প্রতি বছর পাঁচ দিনের এই উৎসবের সময় খেজুরির ইতিহাস সংরক্ষণ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি নিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে আলোচনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় বই প্রদর্শনী ও বিক্রয় থেকে শুরু করে নতুন গ্রন্থ প্রকাশ, আর্ট প্রদর্শনী এবং শিশু-কিশোর সম্মেলন পর্যন্ত নানা কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এতে অংশগ্রহণকারীরা খেজুরির ইতিহাস, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং আঞ্চলিক সাহিত্য সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বই পার্বণ উৎসব কেবল ইতিহাস সংরক্ষণে সহায়ক নয়, এটি স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ঐতিহ্যের প্রতি ভালবাসা এবং স্থানীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমর্থন করার এক অনন্য উদ্যোগ। স্থানীয়রা খুশি তাঁদের অঞ্চলের ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য এমন একটি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।





