জানা গিয়েছে, তিনি ওই কোম্পানির কর্মী ছিলেন এবং মাত্র আট মাস আগে বিয়ে হয়েছে তাঁর। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা হতে পারে।
advertisement
পরিবারের দাবি, গত ২২ অক্টোবর দুপুরের পর থেকেই কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল সেদিনই। এরপর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। উদ্বিগ্ন পরিবার পরদিন সংস্থার অফিসে গিয়ে খোঁজ করলে কর্মীরা জানায়, ওঁর তো শিফট পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোম্পানির অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে দেখা যায় আউট মার্ক করা হয়নি। সেই অসঙ্গতি ঘিরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবার ও সহকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, কোম্পানির মধ্যেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে কবীরকে। ঘটনার পর থেকেই সংস্থার একাধিক কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে বলে দাবি উঠেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুক্রবার থেকেই সংস্থার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সংস্থার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি একটা নামী কোম্পানির ভিতরে যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়! পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে নরেন্দ্রপুর। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।






