তখনই আলাপ ও পরিণয় সোনারপুরের রাধারানী ভট্টাচার্যের সঙ্গে। স্ত্রী রাধারানীর পারিবারিক সম্পত্তিতেই গড়ে ওঠে সোনারপুরের ভট্টাচার্য পরিবার। তিন পুত্র, দুই কন্যা তারপর নাতি, নাতনি, তাদের সন্তান, সব মিলিয়ে এখন পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সঙ্গেই শান্তিময়বাবুর বসবাস।
২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তার জীবনসঙ্গিনী রাধারানী দেবী। কিন্তু আজও নিজের কাজ নিজে করেন, নির্ভরশীলতা নয়, আত্মসম্মানই তার চালিকাশক্তি। স্বাধীনতার আগেই জন্ম, ফলে ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক চেতনা গড়ে ওঠে তার মধ্যে। সময়ের প্রেক্ষিতে জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী আদর্শের সঙ্গে। কর্মজীবনে ছিলেন সার্ভে বিল্ডিংয়ে, সেই সূত্রেই যুক্ত হন পশ্চিমবঙ্গ কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে, পরবর্তীতে হন সংগঠনের সহসভাপতি। এই বয়সেও নিয়মিত পড়াশোনা করেন। সংবাদপত্রের পাশাপাশি সাহিত্যের বই তার সঙ্গী।
advertisement
আরও পড়ুন: ডোবায় ভাসছে বস্তা, খুলতেই ভয়াবহ দৃশ্য! বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের টুকরো টুকরো দেহ মিলল ভাসিতে
বিশেষ ভালবাসেন রবীন্দ্রনাথকে। সুযোগ পেলেই আবৃত্তি করে শোনান প্রিয় কবির কবিতা। শান্তিময় ভট্টাচার্যের এই শতবর্ষের যাত্রা কেবল সময়ের পরিমাপ নয় এ এক সংগ্রামী জীবনের নিঃশব্দ সাক্ষ্য। সোনারপুরের ইতিহাসে তিনি আজ এক জীবন্ত অধ্যায়।





