ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, গত সোমবার মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন অরূপ। তখনই তার পায়ে সাপ ছোবল মারে। তবে চিকিৎসক বা হাসপাতালে না গিয়ে গ্রামের এক গুণিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। দু’দিন গুণীনের কাছে চলে চিকিৎসা। পরে বুধবার কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালেই মৃত্যু হয় তার। রবিবার দুপুরে মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সুযোগের সদ্ব্যবহার! নিরাপত্তারক্ষী চলে যেতেই জগদ্ধাত্রী প্রতিমার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট চোরেদের
ঘটনার পর পরিবারের মধ্যে অসচেতনতার বিষয়টি সামনে এসেছে। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, মাঠে কাজ করতে গিয়ে সাপ ছোবল দেয়। তারপরে গুণিনের কাছে চিকিৎসা চলছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া সোনার দামের মাঝেই একী কাণ্ড মুর্শিদাবাদে! পুরো ঘটনা আপনাকেও ভাবাতে বাধ্য করবে
মৃতের বাবা মাধব দোলাই বলেন, “সাপ ছোবল দেয়। প্রথমে ওঝার কাছে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।” বিষয়টি সামনে আসতেই পরিবারের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন অনেকেই। গ্রামের এক যুবক বলেন,” সবার কাছে অনুরোধ সাপের ছোবল হলে ওঝা নয় হাসপাতালে যান। ওঝার কাছে না গেলে ছেলেটিকে বাঁচানো যেত।” স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, সরকারের তরফ থেকে বারবার নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে। এলাকায় সচেতনতা শিবির করা হবে।
