লোহা পেটানোর শব্দ, পোড়া গন্ধ, পোড়া লোহা থেকে বিচ্ছুরিত আগুনের স্ফুলিঙ্গ আর হাপরের শব্দ এক সময় ছিল কামার পাড়ার সাধারণ ছবি। কিন্তু তা আজ অতীত, আধুনিকতার যুগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে কামারশালা। পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে না নতুন প্রজন্ম। সারাবছর টেনেটুনে চলছে সংসার। আগের মতো আর নেই চাহিদা। তবে ধান কাটার সিজিনে কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফোটে পেশার সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের।
advertisement
ধান কাটার কাজে কাস্তে, নিড়ানির ব্যবহার কমে যাচ্ছে, বেড়েছে ধান কাটার মেশিন-সহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির চাহিদা। তবুও এই সিজিনে একটু হলেও মুখে হাসি ফোটে কামারশালায় কাজ করা মানুষদের।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার এলাকার রানা কর্মকার বলেন, “আধুনিক যন্ত্রপাতির জন্য আমাদের ব্যবসা খুবই কম চলছে। অন্যান্য সময়ে ছুড়ি, কাটারি, বটি এই সব বানিয়ে কাজ চলে কিন্তু এই ধান কাটার মরশুমে আগে খাওয়া ঘুম উড়ে যেত। বর্তমান সময়ে চাহিদা আর আগের মতো নেই। তবে এই বছর ধান কাটার মেশিন কম আসায় একটু হলেও ব্যবসা ভাল চলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একদিকে, আধুনিক যন্ত্র সভ্যতা যেমন কৃষকের কাজকে করেছে দ্রুত ও সহজ, তেমনই তা সঙ্কটের মুখে দাঁড় করিয়েছে কামারশালার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের। তবুও, ধান কাটার এই বিশেষ মরশুমটি পূর্ব বর্ধমানের কামারদের কাছে এখনও একটি বাৎসরিক আশীর্বাদ হিসেবেই আসে। এই সময়টুকুই যেন তাদের নতুন করে বাঁচার রসদ জোগায়, এই পেশাটির ঐতিহ্যকে আরও কিছুদিন ধরে রাখার জন্য।





