এবার বেনারসে না গিয়েও বর্ধমানের মানুষ ঠিক তেমনই এক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন বর্ধমান শহরের মধ্যেই । প্রতি রবিবার সন্ধে ৬:৩০ থেকে থেকে কঙ্কালেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন পুকুরের ঘাটে শুরু হয় এই বিশেষ আরতি অনুষ্ঠান, যা দেখতে ভিড় জমান শতাধিক মানুষ। এই বিষয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মহাদেব রায় বলেন, এই চিন্তাভাবনা বিধায়ক সাহেবের। তার উদ্যোগেই শুরু হয়েছে এই সন্ধ্যারতি।এই সন্ধ্যা আরতি এক বিশেষ আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করেছে বর্ধমান শহরের মধ্যে। এছড়াও ধূপ, ঘণ্টাধ্বনি, ভক্তিমূলক সংগীত সঙ্গে প্রদীপের আলোয় আলোকিত জলাশয় যেন এক অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
আরতির সময় মন্দির চত্বর এবং পুকুরের চারপাশে বসার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ আরতি নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারেন। বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বর্ধমানবাসী। অনেকেই মনে করছেন, এটি শুধু একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং শহরের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আরতি দেখতে এসে সুতপা সেন বলেন, বেনারস যাওয়া সম্ভব নয়, কাজের চাপে হয়ে ওঠেনা। তবে এখানে একই রকমের আরতি দেখতে পেয়ে বেশ ভাল লাগল। সত্যিই এটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ।
আগামী দিনে এই সন্ধ্যা আরতিকে আরও বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আরও বেশি মানুষ এই অভূতপূর্ব আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার অংশ হতে পারেন। বর্ধমান শহরের মানুষদের জন্য এটি এক নতুন সংযোজন, যা তাঁদের আত্মিক প্রশান্তি দেবে এবং এক নয়া সাংস্কৃতিক চেতনাকে জাগিয়ে তুলবে। ভবিষ্যতে এই সন্ধ্যারতি আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়লে, এটি বর্ধমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক ও পর্যটন আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যেই এই জায়গায় অনেকেই আসছেন এবং এহেন আয়োজন ও আরতি দেখে খুবই আনন্দিত হচ্ছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





