TRENDING:

স্কুল তো নয় যেন ক্ষুদে পড়ুয়াদের 'আনন্দ আশ্রম'! শিক্ষক-শিক্ষিকারাই হয়ে উঠেছেন অভিভাবক, সরকারি বিদ্যালয়ের এমন চেহারা সত্যিই প্রশংসনীয়

Last Updated:

Government School: দুর্গাপুরের এই সরকারি স্কুলটি যেন ক্ষুদে পড়ুয়াদের আনন্দের স্কুল। সন্তান স্নেহে পড়ুয়াদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে বিশেষ দিনে মিড-ডে মিলের মেনুতে মাছ, মাংসের আয়োজন করেন তাঁরা। কোথায় এই 'আনন্দ আশ্রম'?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান, দীপিকা সরাকার: দুর্গাপুরের এই সরকারি স্কুলটি যেন ক্ষুদে পড়ুয়াদের আনন্দের স্কুল। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের নিজেদের সন্তানের মত পড়াশোনা-সহ খাওয়া দাওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। ক্ষুদে পড়ুয়াদের খেলার ছলে পড়াশোনা-সহ বিশেষ দিনগুলোতে মেলে মিড-ডে মিলে স্পেশাল খাবারের পদ। এমনই নজির গড়েছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের কেন্দুয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল ছুট রুখতে ও পড়ুয়াদের মেধাবী করে তুলতে এই স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকারা সর্বক্ষণ তৎপর।
advertisement

মিড-ডে মিলের সরকারি সামন্য টাকায় ডাল ভাত সবজি অথবা খিচুড়ি ছাড়া কিছুই হয় না বলে দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। তাই বছরের বিশেষ দিনগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের খাবারের তালিকায় থাকে মাছ, মাংস-সহ নানান পদের খাবার।

আরও পড়ুনঃ শীতে লোকালয়ে বাঘের হানা কমবে! সুন্দরবনের ৮৩ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে ‘ফেন্সিং’, দেখুন সেই ঝলক

advertisement

তবে এই বিশেষ মেনুর আয়োজন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা। তাঁরা নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করেই এই আয়োজন করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। এখানেই শেষ নয়, প্রতি মাসে মাসে যে সব পড়ুয়াদের জন্মদিন থাকে তা একসঙ্গে স্কুলে পালন করা হয়। কেক, বিস্কুট, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এছাড়াও স্কুল চত্বরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার-সহ ক্লাস রুম পরিষ্কার, ক্লাস রুমের ফ্যান, জলের কল ইত্যাদি মেরামত, সবই করেন নিজেদের পকেটের টাকায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সরপী গ্রামে কেন্দুয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসা করাতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি! পথেই মৃত্যু বাইক চালকের, আহত তৃণমূল নেতার অসুস্থ ছেলে

বেশ কয়েকটি শ্রেণী কক্ষ-সহ দ্বিতল একটি স্কুল ভবন। যদিও স্কুল ভবনটি বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় ভগ্নদশায় রয়েছে। যা বিপদজনক বললেও চলে। বর্তমানে স্কুলে প্রধান শিক্ষক-সহ দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়াও তিনজন শিক্ষিকা রয়েছেন। মোট ৫ জন শিক্ষক মিলে স্কুল পরিচলনা করেন। প্রি প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় স্কুলে। বর্তমানে স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৭ জন।অভিভাবকরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশু পড়ুয়াদের  উপর বিশেষ নজরদারি রাখেন। পড়াশোনাও হাতে ধরে শেখান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

শিক্ষক দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস-সহ বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেন শিক্ষক-শিক্ষকরা। এছাড়াও শিশুদের গরম লাগলে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে ফ্যানের ব্যবস্থা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পাশাপাশি স্কুল ছুটির সময় কোনও অভিভাবক পড়ুয়াদের নিতে না আসলে শিক্ষিকারা নিজেরা দ্বায়িত্ব নিয়ে ক্ষুদে পড়ুয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেন। অথবা অভিভাবকদের ফোন করে ডাকেন। শিক্ষকদের এমন মানবিক উদ্যোগে স্বাভাবিকভবেই খুশি অভিভাবকরা।

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্কুল তো নয় যেন ক্ষুদে পড়ুয়াদের 'আনন্দ আশ্রম'! শিক্ষক-শিক্ষিকারাই হয়ে উঠেছেন অভিভাবক, সরকারি বিদ্যালয়ের এমন চেহারা সত্যিই প্রশংসনীয়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল