মিড-ডে মিলের সরকারি সামন্য টাকায় ডাল ভাত সবজি অথবা খিচুড়ি ছাড়া কিছুই হয় না বলে দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। তাই বছরের বিশেষ দিনগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের খাবারের তালিকায় থাকে মাছ, মাংস-সহ নানান পদের খাবার।
আরও পড়ুনঃ শীতে লোকালয়ে বাঘের হানা কমবে! সুন্দরবনের ৮৩ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে ‘ফেন্সিং’, দেখুন সেই ঝলক
advertisement
তবে এই বিশেষ মেনুর আয়োজন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা। তাঁরা নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করেই এই আয়োজন করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। এখানেই শেষ নয়, প্রতি মাসে মাসে যে সব পড়ুয়াদের জন্মদিন থাকে তা একসঙ্গে স্কুলে পালন করা হয়। কেক, বিস্কুট, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এছাড়াও স্কুল চত্বরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার-সহ ক্লাস রুম পরিষ্কার, ক্লাস রুমের ফ্যান, জলের কল ইত্যাদি মেরামত, সবই করেন নিজেদের পকেটের টাকায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সরপী গ্রামে কেন্দুয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসা করাতে এসে মর্মান্তিক পরিণতি! পথেই মৃত্যু বাইক চালকের, আহত তৃণমূল নেতার অসুস্থ ছেলে
বেশ কয়েকটি শ্রেণী কক্ষ-সহ দ্বিতল একটি স্কুল ভবন। যদিও স্কুল ভবনটি বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় ভগ্নদশায় রয়েছে। যা বিপদজনক বললেও চলে। বর্তমানে স্কুলে প্রধান শিক্ষক-সহ দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়াও তিনজন শিক্ষিকা রয়েছেন। মোট ৫ জন শিক্ষক মিলে স্কুল পরিচলনা করেন। প্রি প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় স্কুলে। বর্তমানে স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৭ জন।অভিভাবকরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশু পড়ুয়াদের উপর বিশেষ নজরদারি রাখেন। পড়াশোনাও হাতে ধরে শেখান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিক্ষক দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস-সহ বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেন শিক্ষক-শিক্ষকরা। এছাড়াও শিশুদের গরম লাগলে নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে ফ্যানের ব্যবস্থা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পাশাপাশি স্কুল ছুটির সময় কোনও অভিভাবক পড়ুয়াদের নিতে না আসলে শিক্ষিকারা নিজেরা দ্বায়িত্ব নিয়ে ক্ষুদে পড়ুয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেন। অথবা অভিভাবকদের ফোন করে ডাকেন। শিক্ষকদের এমন মানবিক উদ্যোগে স্বাভাবিকভবেই খুশি অভিভাবকরা।





