TRENDING:

East Bardhaman News: বিয়ের মরশুমে একসময় এই শাড়ির ব্যাপক কদর ছিল, তবে আজ সব অতীত 

Last Updated:

তাঁতের জামদানি পরেই বিয়ের পিড়িতে বসত নববধু। সেই সময় রাত দিন পরিশ্রম করে তাঁতের শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন তাঁত শিল্পীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: চলছে বিয়ের মরশুম। আর এই বিয়ের মরশুমে শাড়ির আলাদাই কদর থাকে। নতুন বউকে আধুনিক শাড়িতে সাজানোর জন্য কদর বাড়ে নিত্যনতুন শাড়ির। তবে বেশ কয়েকবছর আগে এই ছবি দেখা যেত একটু অন্যরকম ভাবে। বরাবরই বিয়ের মরশুমে শাড়ির কদর থাকে। তবে বেশ কয়েকবছর আগে এইসময় তাঁতের শাড়ির কদর থাকতসবথেকে বেশি। তাঁতের শাড়ি তৈরির জন্য রীতিমত হিমশিম খেতে হত তাঁতিদের। নজরকাড়া জামদানি শাড়ি দিয়েই সাজানো হত নতুন বউকে। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে জানিয়েছেন, “আমাদের মধ্যে তখন প্রতিযোগিতা হত, কে কত রাত জেগে শাড়ি তৈরি করবে সেই নিয়ে। তখন প্রচুর চাহিদা ছিল। আমাদের রাতের ঘুম উড়ে যেত বিয়ের অর্ডারের শাড়ি দিতে গিয়ে।”
advertisement

বিয়ের মরশুমে সত্যিই তাঁতের শাড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকত। তাঁতশিল্পী সুশান্ত বাবুর কথায়, অনেকসময় বেনারসি শাড়ির বদলে, তাঁতের জামদানি পরেই বিয়ের পিড়িতে বসত কণে। সেসময় রাত দিন পরিশ্রম করে তাঁতের শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন তাঁত শিল্পীরা। কে কত ভাল নকশার শাড়ি তৈরি করতে পারেন সেই নিয়ে রীতিমত যেন প্রতিযোগিতা চলতশিল্পীদের মধ্যে। বিয়ের মরশুমে দূর দূরান্ত থেকেও শাড়ি তৈরির অর্ডার আসতো শিল্পীদের কাছে। তবে সেই ছবি বর্তমানে অনেকটা ফিকে হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে সকলেই ঝুঁকছেন কম দামের আধুনিক শাড়ির দিকে।

advertisement

আরও পড়ুন : নাইট সাফারির সুযোগ দক্ষিণের ‘এই’ জায়গায়, কাপল ফ্রেন্ডলি রিসর্টও পাবেন, বড়দিনে ঘুরে আসুন

তাঁতের শাড়ি বা জামদানির যে ঐতিহ্য সেটা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে হাতেগোনা কিছু তাঁতি রয়েছেন যারা এখনও তাঁতের শাড়ি তৈরি করেন। তাঁত শিল্পী সুশান্ত দে জানিয়েছেন, “বাইরের শাড়ি এসে আমাদের বাজার শেষ করে দিয়েছে। যেমন সুরাটের শাড়ির কাজ বেশি দাম কম। সবাই ওটাই কিনছেন। কিন্তু জামদানি যে ঐতিহ্য এবং পরে যা আরাম সেটা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। আগে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়ার জন্য বা কোনেকে পরানোর জন্য তাঁতের শাড়িই ব্যবহার করা হত।”

advertisement

View More

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তাঁত শিল্পীদের কথায়, কম দামের সুরাটের শাড়ির কারণে এবং পাওয়ার লুমের জন্যই বাংলার তাঁতের এই অবস্থা। এখন আর বিয়ের মরশুমে তাঁতের শাড়ির আগের মত কদর থাকেনা। সেই জায়গা দখল করেছে কম দামের সুরাটের শাড়ি। ২৫-৩০ হাজারের জামদানিও এখন বিলুপ্তির পথে। শাড়ির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে শিল্পীদের প্রতিভা। শাড়ি প্রস্তুতকারী দক্ষ শিল্পীদের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। হয়তো আরও বেশ কয়েকবছর পর একরকম বিলুপ্ত হয়ে যাবে তাঁতের শাড়ি। শিল্পীরাও রোজগারের তাগিদে খুঁজে নেবেন বিকল্প রাস্তা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠে বিরাট কালীপুজো, শ্যামবর্ণা দেবীর দর্শনে ভক্তের ঢল
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: বিয়ের মরশুমে একসময় এই শাড়ির ব্যাপক কদর ছিল, তবে আজ সব অতীত 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল