সময়ের স্রোতে বদলে গেছে অনেক কিছু। কিন্তু এই পুজো আজও অটুট থেকে গেছে তার মূল আদলে, সাবেক ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠান এবং বাঙালিয়ানার আবহে।
আধুনিক থিম, প্রযুক্তির ঝলক কিংবা কৃত্রিম চমক নয়, এই পুজোর মূল আকর্ষণ তার প্রাচীন ও আন্তরিক ঘরোয়া রূপ, যা প্রত্যেক দর্শনার্থীর মনে বাঙালির শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটায়। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে প্রতিটি আচার, অঞ্জলি, আরতির ধ্বনি, ধুনুচি নৃত্য ও সিঁদুর খেলায়, সর্বত্রই অনুভূত হয় এক অকৃত্রিম সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। কৃত্রিমতা নয়, বরং হৃদয়ের উষ্ণতায় গড়ে ওঠা এই পুজো প্রতি বছরই এক নিঃশব্দ সংস্কৃতি চেতনার বার্তা বহন করে চলে। এই বছর পুজোর বাজেট প্রায় ৯ লক্ষ টাকা।
advertisement
তবে শুধুমাত্র অর্থের পরিমাণে নয়, আয়োজকেরা বিশ্বাস করেন, পরম্পরা, নিষ্ঠা ও শুদ্ধ সংস্কৃতির এই যাত্রা দর্শনার্থীদের হৃদয়ে যে গভীর ছাপ ফেলবে সেটিই এই পূজোর প্রকৃত মূল্যায়ন।
শতবর্ষ পার করা এই দুর্গাপুজো আজ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি আদ্রা শহরের মাটিতে গেঁথে থাকা ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আবেগের এক জীবন্ত নিদর্শন।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহমান এই পুজো যেন এক আত্মিক মিলনক্ষেত্র, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য একসঙ্গে মিলিত হয় অকৃত্রিম শ্রদ্ধায়।