জেলা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজার পরপরই অবৈধ আতশবাজি নির্মাণ ও বিক্রি ঠেকাতে জোর কদমে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চলেছে এগরা, পাঁশকুড়া, মহিষাদল ও তমলুক থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে, সারা বছর ধরেই নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলে। তবে দীপাবলীর আগে অভিযান আরও তীব্র করা হয়েছে যাতে কোনোভাবেই অবৈধ বাজি তৈরির কারবার চলতে না পারে। আর তাতেই বড়সড় সাফল্য। মাত্র ৭ দিনেই উদ্ধার হয়েছে এক টনেরও বেশি অবৈধ বাজি। এর পাশাপাশি বহু পরিমাণ বাজি তৈরির কাঁচামাল।
advertisement
অবৈধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএসপি ডিইবি শান্তব্রত চন্দ বলেন, সারা বছরই জেলাজুড়ে অবৈধ বাজি কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান হয়। তবে দীপাবলীর কয়েকদিন আগে থেকেই সেই অভিযানে আরও জোর দেওয়া হয়। জেলা জুড়ে তমলুক পাঁশকুড়া এগরা মহিষাদলসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এই অভিযান জারি রয়েছে। ৭ দিনে এক টনেরও বেশি বাজি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বাজি তৈরির কাঁচামাল। বিভিন্ন থানা মিলিয়ে জেলায় মোট অবৈধ বাজি কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকা নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত এগরাতে ২০২৩ সালে বাজি বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানির ঘটনার পর থেকেই জেলাজুড়ে প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ সতর্ক। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেদিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শুধু বাজি নয়, পাশাপাশি অবৈধ মদ বিক্রি ও জোয়ার থেকেও অভিযান চালানো হয়েছে। দীপাবলীর আগে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য এই তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায় জেলা পুলিশ সূত্রে।