East Bardhaman News: টোটো চালক বাবার সোনার টুকরো মেয়ে! অভাবকে সঙ্গী করেই একের পর এক ট্রফি-পদক, কাটোয়ার গর্ব মালতী

Last Updated:
East Bardhaman News: বাবা টোটো চালক, মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। অভাবের সংসার হলেও ছোটবেলা থেকেই দৌড়ের প্রতি অদম্য টান মালতীর। সমস্ত অভাবকে সঙ্গী করেই ছুটে চলেছে কাটোয়ার এই মেয়ে।
1/5
কাটোয়া শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীগঞ্জ ঘাট এলাকার মেয়ে মালতী বিশ্বাস। সাধারণ একটি বাড়ি, সীমিত আসবাব আর অভাব-অনটনে ভরা সংসারেই তাঁর বেড়ে ওঠা। বাবা টোটো চালক, মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। অভাবের সংসার হলেও ছোটবেলা থেকেই দৌড়ের প্রতি অদম্য টান মালতীর। মাঠ কিংবা রাস্তাঘাট, যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই ছুটে বেড়িয়েছে সে। (ছবি ও তথ্যঃ বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
কাটোয়া শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীগঞ্জ ঘাট এলাকার মেয়ে মালতী বিশ্বাস। সাধারণ একটি বাড়ি, সীমিত আসবাব আর অভাব-অনটনে ভরা সংসারেই তাঁর বেড়ে ওঠা। বাবা টোটো চালক, মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। অভাবের সংসার হলেও ছোটবেলা থেকেই দৌড়ের প্রতি অদম্য টান মালতীর। মাঠ কিংবা রাস্তাঘাট, যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানেই ছুটে বেড়িয়েছে সে। (ছবি ও তথ্যঃ বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/5
এই দৌড়ের নেশাই তাঁকে এনে দিয়েছে একের পর এক সাফল্য। রাজ্যের নানা প্রান্ত এমনকি ভিনরাজ্য থেকেও দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ট্রফি, পদক ও সার্টিফিকেট জিতে ফিরেছে মালতী। তাঁর ঘরের এক কোণে আজও সাজানো রয়েছে অগণিত পুরস্কার। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন এখনও অধরা। কারণ সেই স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন অর্থ, যা তাঁর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এই দৌড়ের নেশাই তাঁকে এনে দিয়েছে একের পর এক সাফল্য। রাজ্যের নানা প্রান্ত এমনকি ভিনরাজ্য থেকেও দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ট্রফি, পদক ও সার্টিফিকেট জিতে ফিরেছে মালতী। তাঁর ঘরের এক কোণে আজও সাজানো রয়েছে অগণিত পুরস্কার। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন এখনও অধরা। কারণ সেই স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন অর্থ, যা তাঁর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
advertisement
3/5
প্রতিদিন ভোর তিনটেয় উঠে মাত্র কুড়ি টাকা হাতে নিয়ে ট্রেনে চেপে বলাগড়ে যায় মালতী। সেখানে কোচ তরুণ ঘোষের কাছে নিয়মিত অনুশীলন করে। কোচিং ফি দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও কোচই তাঁর ভরসা। নিজের সাধ্য মতো সাহায্য করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ অনুশীলনের পর দুপুরের ট্রেনে ফিরে আসে কাটোয়ায়।
প্রতিদিন ভোর তিনটেয় উঠে মাত্র কুড়ি টাকা হাতে নিয়ে ট্রেনে চেপে বলাগড়ে যায় মালতী। সেখানে কোচ তরুণ ঘোষের কাছে নিয়মিত অনুশীলন করে। কোচিং ফি দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও কোচই তাঁর ভরসা। নিজের সাধ্য মতো সাহায্য করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ অনুশীলনের পর দুপুরের ট্রেনে ফিরে আসে কাটোয়ায়।
advertisement
4/5
খাবারের ক্ষেত্রেও অভাব মালতীর নিত্যসঙ্গী। কোনও কোনও দিন একটু মুড়ি খায়, খাবার না থাকলে খালি পেটেই বাড়ি ফেরে। ভাত আর মুড়িই তাঁর সারা দিনের খাবার। দামি জুতো, জার্সি কিংবা প্রোটিন সবই তাঁর কাছে স্বপ্ন। তবু হাসিমুখেই সে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। মালতীর কথায়, “আমারও ইচ্ছা করে ভাল জুতো-জার্সি পরে খেলতে, ভাল খাবার খেতে। কিন্তু বাবা-মায়ের সামর্থ্য নেই, তাই কোনও চাপ দিই না।”
খাবারের ক্ষেত্রেও অভাব মালতীর নিত্যসঙ্গী। কোনও কোনও দিন একটু মুড়ি খায়, খাবার না থাকলে খালি পেটেই বাড়ি ফেরে। ভাত আর মুড়িই তাঁর সারা দিনের খাবার। দামি জুতো, জার্সি কিংবা প্রোটিন সবই তাঁর কাছে স্বপ্ন। তবু হাসিমুখেই সে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। মালতীর কথায়, “আমারও ইচ্ছা করে ভাল জুতো-জার্সি পরে খেলতে, ভাল খাবার খেতে। কিন্তু বাবা-মায়ের সামর্থ্য নেই, তাই কোনও চাপ দিই না।”
advertisement
5/5
মালতীর মা গৌরী বিশ্বাস বলেন, সংসারের টানাপোড়েনে মেয়েকে ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবু খেলাধূলার প্রতি মালতীর অদম্য জেদ তাঁকে বারবার পথে নামায়। কাটোয়ার কিছু মানুষ পাশে দাঁড়ালেও প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি। সমস্ত অভাবকে সঙ্গী করেই ছুটে চলেছে মালতী বিশ্বাস। চোখে একটাই স্বপ্ন, একদিন দেশের হয়ে দৌড়ে দেশের গৌরব হওয়া। (ছবি ও তথ্যঃ বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
মালতীর মা গৌরী বিশ্বাস বলেন, সংসারের টানাপোড়েনে মেয়েকে ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবু খেলাধূলার প্রতি মালতীর অদম্য জেদ তাঁকে বারবার পথে নামায়। কাটোয়ার কিছু মানুষ পাশে দাঁড়ালেও প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি। সমস্ত অভাবকে সঙ্গী করেই ছুটে চলেছে মালতী বিশ্বাস। চোখে একটাই স্বপ্ন, একদিন দেশের হয়ে দৌড়ে দেশের গৌরব হওয়া। (ছবি ও তথ্যঃ বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement