আরও পড়ুন: পাহাড়ের মধ্যে ওগুলো কী? পহেলগাঁও হামলার তদন্তে বিরাট মোড়! চমকে উঠলেন নিরাপত্তারক্ষীরা
মহম্মদবাজারের বিডিও অফিসে বৈঠকে ১৫ লটের তালিকা অনুসারে চান্দা এলাকায় জমি কেনা শুরু হবে। একইসঙ্গে ১৬-১৭ লটের যে তালিকা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ১৮ ও ১৯ লটের জন্য তালিকা তৈরি করছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মহম্মদবাজার ব্লকের চান্দা এলাকার ১২ একর জুড়ে প্রথম পর্যায়ের জন্য খনন শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে পাথরের কুচি কালো কাদা মাটি উঠতে শুরু করেছে। সোমবারের বৈঠকে সেই পাথর দ্রুত সরিয়ে কয়লা পাওয়ার আশার কথা জানান জেলাশাসক। সোমবার ব্লকের বৈঠকে জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিও-সহ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
চান্দার খনন এলাকার আশেপাশের জমি কেনার ক্ষেত্রে ফাঁক ছিল। সেই জমি না কেনা হওয়ায় প্রথম পর্যায়ের কাজ নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। সে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক বিধান রায়কে সতর্ক করেন এবং ধমক দেন। এরপরেই দ্রুত ভূমি দফতরের বিশেষ শিবির করে সেই জমি জট ছাড়াতে সক্ষম হন। একইসঙ্গে এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী জল, রাস্তা, আলো করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, “জমির যে কাগজপত্র আমরা নতুন করে তৈরি করে দিয়েছি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত প্রকল্পগুলি রয়েছে যেমন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড, বাধ্যতামূলক ভাতা, বিধবা ভাতা, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।”
সোমবারের বৈঠকে ঠিক হয় প্রকল্প এলাকার বাইরে দীর্ঘদিন ধরে জমি কেনাবেচা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি ছিল। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে ১১০০ জন জমি বিক্রির আবেদন করেছেন। তাঁদের বিক্রির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। এছাড়াও প্রথম পর্যায়ের কাজ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর-সহ সব বিভাগকে নিয়ে আলোচনা হয়। অন্যদিকে আদিবাসীদের কথাকে মান্যতা দিয়ে চান্দা প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৯৮০টি গাছ তুলে সাগরবাঁধি খেলার মাঠের চারপাশে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মত ইতিমধ্যে ৮৮১টি গাছ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। বাকি গাছগুলিও ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলা হবে।
সৌভিক রায়






