মৃৎশিল্পী চন্ডীদাস কুম্ভকার বলেন, পাঁচমুড়ার মাটি অনেক বেশি টেকসই। অন্যান্য মাটি কিছুদিন পর ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। পাঁচমুড়ার মাটিতে রয়েছে অসাধারণ বাইন্ডিং কোয়ালিটি। সেই কারণেই গয়না বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
এই মুহূর্তে গ্রামে প্রায় ৮০ টি কুম্ভকার পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেই টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রত্যেকেই তৈরি করছেন মাটির গয়না। যেমন গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা।
তিনটি পাড়ায় বিভক্ত এই মৃৎশিল্পী পরিবারগুলি। তাঁদের মূল জীবিকা পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্য তৈরি করা। বছরে বারো মাসের মধ্যে এগারো মাস কাজ চলে এই গ্রামে। বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে মাটির গহনাগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। গলার হার এবং কানের দুলের সেট কিনলে দাম পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা।
পাঁচমুড়ায় পাশাপাশি রয়েছে এই পাঁচ মৌজা। অনেকেরই বিশ্বাস পাঁচমুড়ার নামকরণও তা থেকে হয়েছে। পাঁচটি মাথাকে স্থানীয় ভাষায় ‘মুড়া’ বলে। তবে নামকরণের স্বার্থকতার চেয়ে শৈল্পিক স্বার্থকতা বিপুল, তবে জীবিকার জন্য আধুনিক চাহিদা মেটাতে গহনা তৈরির সিদ্ধান্ত শিল্পীদের।
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন বাঁকুড়ার হাতি ঘোড়া। নাম তার জগৎ জোড়া। বাঁকুড়া জেলার হাতি ঘোড়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার নেপথ্যে এই গ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। তবে হাতি ঘোড়া ছাড়াও পাঁচমুড়ার শিল্পের পরিসর বেড়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প দ্রব্য।