TRENDING:

Civic Volunteer: মুখে অক্সিজেন মাস্ক, হাতে চারা গাছ, এভাবেই ট্রাফিক সামলাচ্ছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার, কারণ জানলে চমকে যাবেন

Last Updated:

Civic volunteers: পূর্ব বর্ধমানের এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের গল্প জানলে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে অনেক সময় সামনে উঠে আসে বিভিন্ন অভিযোগ। তবে পূর্ব বর্ধমানের এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের গল্প জানলে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই। তীব্র গরমে যখন নাজেহাল হতে হচ্ছে গোটা রাজ্যের মানুষকে, ঠিক সেই সময় পূর্ব বর্ধমানে দেখা গেল এক ভিন্ন ছবি। জেলার গুসকরা শহরে দেখা গেল একজন তীব্র গরমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরে এবং তার হাতে রয়েছে একটা চারা গাছ। আর এই ব্যক্তি হলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সুরজিৎ পাত্র।
সিভিক ভলেন্টিয়ার 
সিভিক ভলেন্টিয়ার 
advertisement

জন্ম থেকেই তাঁকে একটি কিডনি নিয়েই চলাফেরা করতে হয়৷ তার উপরে বাবার মারণ রোগ ক্যানসার ধরা পড়েছে৷ তবে শারীরিক সমস্যা থাকলেও তীব্র দাবদাহে গুসকরা শহরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁকে ট্রাফিক ডিউটি করতে হয়৷ এই গরমের দাপটে সুরজিৎ বুঝতে পারে যে এই পরিস্থিতিতে গাছের অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। তাই গাছ লাগানোর বার্তা দিয়ে অভিনবভাবে ডিউটির ফাঁকে সকলকে সচেতন করেন বর্ধমানের এই সিভিক ভলেন্টিয়ার।

advertisement

আরও পড়ুন-ভোর ৩-৪টে বাজলেই কি রোজ ঘুম ভাঙছে? কিসের সঙ্কেত দিচ্ছে প্রকৃতি? ‘অলৌকিক’ কিছু ঘটছে না তো জীবনে? জ্যোতিষীর কথা শুনলে আঁতকে উঠবেন

এই প্রসঙ্গে সুরজিৎ পাত্র জানিয়েছেন, ‘সমাজে গাছের অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমি কাজের ফাঁকে সকলকে গাছ লাগানোর বার্তা দিয়ে থাকি। জানিনা মানুষ কতটা সচেতন হবে, তবে আমি আমার এই কাজ চালিয়ে যাব।’ গুসকরা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চোঙদার পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ বর্তমানে কর্মরত আউশগ্রাম থানার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান ও ভাই নিয়ে তাঁর সংসার। সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করে যেটুকু রোজগার হয়, তাতে বাবার চিকিৎসা ও নিজের ওষুধের খরচও ওঠে না। তাই অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য স্টেজ শো করেন পুতুল নিয়ে। পুতুল দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে পারিশ্রমিক পান সামান্য কিছু টাকা।

advertisement

View More

আরও পড়ুন-‘জীবন অনিশ্চিত…!’, অন্ধকারে তলিয়ে গেলেন অমিতাভ? আচমকা কী হল বিগ -বির? পোস্ট ভাইরাল হতেই ঘুম উড়ল ভক্তদের

২০১৮ সালে প্রথম ধাক্কা আসে পরিবারের জীবনে, সুরজিৎ এর বাবা রমেশ চন্দ্র পাত্রর শরীরে ধরা পড়ে ক্যানসার। এরপর লকডাউনের সময় জানা যায়, সুরজিৎও জন্ম থেকে একটি কিডনি নিয়েই বেঁচে আছেন। নিয়মিত চিকিৎসা চলছে তাঁরও। তবু তিনি মনোবল হারাননি। ডিউটিও করেন আবার একই সঙ্গে ছড়িয়ে দেন পরিবেশ সচেতনতার বার্তা। তাঁর এমন পরিবেশ সচেতনতা দেখে সাধুবাদ জানান অনেকেই। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা গুসকরা বাস ইউনিয়নের কর্মাধ্যক্ষ শেখ বকুল বলেন, ‘এই ভাই যা কাজ করছেন এটা সত্যিই একটা দারুণ উদ্যোগ। আমরা প্রায়ই ওকে দেখি এইধরনের সচেতনতামূলক কাজ করতে। আরও এগিয়ে চলুক, সমাজের উন্নতি হোক।’

advertisement

আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী তিনিও সুরজিৎ এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সত্যিই পূর্ব বর্ধমানের এই সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর চিন্তাধারা একেবারে ভিন্ন। তীব্র গরমে পরিবেশ সচেতনতার জন্য ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া এহেন উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Civic Volunteer: মুখে অক্সিজেন মাস্ক, হাতে চারা গাছ, এভাবেই ট্রাফিক সামলাচ্ছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার, কারণ জানলে চমকে যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল