বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, একটা অভাববোধ ছিল, তবে তৎকালীন অধ্যাপকদের স্ত্রী’রা সেই অভাব অনেকটাই পূরণ করে দিতেন। তবে শিক্ষিকাদের আগমনে ভবনের ভারসাম্য আরও সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ ১৫ দিনে ২২০০ কিলোমিটার! বারুইপুর থেকে আজমীর শরীফ সাইকেলে যাত্রা একদল যুবকের
advertisement
প্রসঙ্গত, ১৯১৯ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কলাভবন। মূলত পাশ্চাত্য ও দেশীয় শিল্পরীতির চর্চা ছিল কলাভবন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান কারণ। কলাভবন প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরেই ১৯২৪ সাল নাগাদ সুকুমারী দেবী সেখানে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। সুকুমারী দেবী বয়ন শিল্প এবং আলপনা অঙ্কনের প্রতি বিশেষ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তাঁরই ছাত্রী ছিলেন চিত্রনিভা চৌধুরী।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন
অঙ্কন, আলপনা-সহ শিল্পের প্রায় প্রতিটি পথেই ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। নন্দলাল বসুর দুই কন্যা গৌরী ভঙ্গ এবং যমুনা সেন ছিলেন চিত্রনিভার ছাত্রী। পরবর্তীতে কলাভবনে একটা দীর্ঘ সময় অধ্যাপিকার দায়িত্ব সামলেছেন গৌরী ও যমুনা। সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে গৌরী ও যমুনার অবসর গ্রহণের পর প্রায় চার দশক কোনও মহিলা শিক্ষিকা ছিলেন না শান্তিনিকেতনে। তবে মাঝে ৯০ এর দশকে সোহিনী ধর কয়েক মাসের জন্য কলাভবনে অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দিলেও পরে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে চিত্রনিভা, গৌরী, যমুনাদের ঐতিহ্যবাহী কলাভবন একটা দীর্ঘ সময় মহিলা শিক্ষকের অভাব বোধ করেছে। তবে সেই অভাব মিটেছে ২০১২ সালে। কলাভবনের চিত্রকলা বিভাগে অধ্যাপিকার পদে যোগ দেন ধরিত্রী বোরো। এরপর একে একে ভাবনা খাজুরিয়া বসুমাতারি, মেঘালি গোস্বামী (শিল্পের ইতিহাস), অর্চনা দাস (সেরামিক্স অ্যান্ড গ্রাফিক ডিজাইন) এবং বনতন্বী দাস মহাপাত্র (টেক্সটাইল) কলাভবনে যোগ দেন। মহিলা শিক্ষকের যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল একসময় কলাভবনে তা এখন নেই বলে জানাচ্ছেন বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।






