ঘটনা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ প্রাইমারি স্কুলের তালা ভেঙে চুরি হয়ে যায় সাতটি সিলিং ফ্যান, কম্পিউটারের সিপিইউ, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস এবং অন্যান্য লোহার সামগ্রী। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সদাইপুর থানার পুলিশ। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সন্তোষী দত্ত শর্মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তালাগুলো ভেঙে দিয়েছে। অফিস রুম পর্যন্ত ভেঙেছে। সাতটা ফ্যান, অফিসের ফ্যান, কম্পিউটার সব নেই। মনিটর ভাঙা, সিপিইউও নিয়ে গেছে। এই গরমে ফ্যান না থাকলে বাচ্চাদের পড়াশোনা কীভাবে চলবে? আমরা পুলিশকে জানালাম, তারা বলছে তদন্ত চলছে। কিন্তু সমাধান কোথায়?”
advertisement
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের ক্ষতিকর বর্জ্যেই সেজে উঠুক প্রকৃতি, সবুজের পথে নতুন দিশা
উল্লেখ্য, এক মাস আগেই চিনপাই গ্রামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা এবং ২৫-৩০ ভরি সোনার গহনা চুরি যায়। তার কিছুদিন পরেই সদাইপুর থানার অদূরে তাপাশপুরে ঘটে আরও একটি চুরির ঘটনা। সেখানে নগদ এক লক্ষাধিক টাকা ও সোনা-রুপোর অলঙ্কার হাতিয়ে নেয় চোরেরা। কিন্তু, সেইসব ঘটনাতেও পুলিশ কেবল তদন্ত চালালেও কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: অন্যদের থেকে আলাদা! পুরুলিয়ায় খোঁজ নতুন উদ্ভিদের, ‘এই’ মহামানবের নামে রাখা হল নাম
ফলে এখন প্রশ্নের মুখে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই এলাকায় বারবার চুরির ঘটনায় চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের তদন্তের গতি ও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।