অন্যদের থেকে আলাদা! পুরুলিয়ায় খোঁজ নতুন উদ্ভিদের, 'এই' মহামানবের নামে রাখা হল নাম

Last Updated:

গবেষকদের পাওয়া এই বিশেষ উদ্ভিদ প্রজাতির নাম রাখা হয় এই মহামানবের নামে, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে পশ্চিমবঙ্গের নাম উজ্জ্বল করেছে।

+
অযোধ্যা

অযোধ্যা পাহাড়ে নতুন উদ্ভিদের খোঁজ

মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জয়জয়কার। এক অসাধ্য সাধন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রজাতির উদ্ভিদের দেখা মিলল পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভিদের নামকরণ রীতিমতো অবাক করেছে সকলকে। কয়েক কোটি বছর আগে এই স্থলজ উদ্ভিদের জন্ম হয়েছিল। ২০১৯ সালে লিভারওয়ার্ট প্রজাতির সেই উদ্ভিদেরই সন্ধান পেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। দীর্ঘ গবেষণা শেষে প্রমাণিত হয় যে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বিদ্যাজারা গ্রামে জন্ম নেওয়া উদ্ভিদটি আসলে ৩২৪ মিলিয়ন বছর আগের। সম্প্রতি ‘ফাইটোট্যাক্সা’ নামে আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, অধ্যাপকদের আবিষ্কৃত সেই উদ্ভিদ প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে মহামানব বিদ্যাসাগরের নামে।
দীর্ঘ গবেষণার পর, পুরুলিয়া থেকে প্রাপ্ত অতি ক্ষুদ্র এই উদ্ভিদ প্রজাতি আবিষ্কার করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। পশ্চিমবঙ্গে আবিষ্কৃত নতুন লিভারওয়ার্ট প্রজাতির উদ্ভিদের নাম দেওয়া হয়েছে সোলেনোস্টোমা বিদ্যাসাগরিয়েনসিস (Solenostoma vidyasagariensis)। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তিন গবেষকের মধ্যে দু’জন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। একজন বোটানি ও ফরেস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান অমলকুমার মণ্ডল ও অন্যজন ওই বিভাগেরই অধ্যাপক, রশিদুল ইসলাম। তাঁদের এই কাজে সাহায্য করেছেন কলকাতার বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষক তথা যুগ্ম অধিকর্তা ড. দেবেন্দ্র সিং।
advertisement
advertisement
জীব বৈচিত্র্য ঘেরা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। এই পাহাড়ের মাটিতে জন্মায় একাধিক গাছ। কখনও পর্যটকদের আনাগোনা, আবার বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায় বিভিন্ন ছোট ছোট উদ্ভিদ। তাই গবেষকদের অনুসন্ধিৎসু মনও ঘুরে বেড়ায় ওই সব জায়গার আনাচকানাচে। আর সেই কারণেই এমন একটি উদ্ভিদ দেখে তা নজর এড়ায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের। দেখার পরই সেটি সংরক্ষণের জন্য নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্বরোরিয়ামে। চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গবেষকদের মতে, পরীক্ষা শেষে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে যে, নতুন প্রজাতিটি আকারে সোলেনোস্টোমা ট্রাঙ্কাটামের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকলেও বেশ কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি স্বতন্ত্র। সোলেনোস্টোমা বিদ্যাসাগরিয়েনসিসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, স্পোরে বিশেষ ধরনের শৈলবৎ-জালিকাযুক্ত অলঙ্করণ। টিস্যু উন্নত নয়। নেই শেকড়ও।
advertisement
শরীর দিয়েই এরা খাবার তৈরি করে আবার শরীরের মাধ্যমেই মাটি থেকে জল ও খনিজ সংগ্রহ করে। এরা জন্মায় স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত পরিবেশে। এই আবিষ্কার যেমন পশ্চিমবঙ্গের জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করবে তেমনই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ ট্যাক্সোনমি ও জীববৈচিত্র্য গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা নেবে বলেই আশা গবেষকদের। তবে গবেষকদের পাওয়া এই বিশেষ উদ্ভিদ প্রজাতির নাম রাখা হয় বিদ্যাসাগরের নামে, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে পশ্চিমবঙ্গের নাম উজ্জ্বল করেছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অন্যদের থেকে আলাদা! পুরুলিয়ায় খোঁজ নতুন উদ্ভিদের, 'এই' মহামানবের নামে রাখা হল নাম
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement