রাত বাড়তেই বাড়ছে ধুপধাপ-ঠকঠক শব্দ! বিশ্বকর্মা পুজোর আগে হলটা কী মেদিনীপুরে! জানুন

Last Updated:

রাত যত গভীর হয়, ততই ভেসে আসে ধুপধাপ, ঠকঠক আওয়াজ। দাসপুরের কামারশালাগুলো যেন আলো-আঁধারির মধ্যে ঘুমহীন ব্যস্ততায় মশগুল।

+
রাতজেগে

রাতজেগে কাজ চলছে দাসপুরের কামারদের

দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: বিশ্বকর্মা পুজোকে ঘিরে চরম ব্যস্ততা দাসপুরের কামারশালায়। রাত যত গভীর হয়, ততই ভেসে আসে ধুপধাপ, ঠকঠক আওয়াজ। দাসপুরের কামারশালাগুলো যেন আলো-আঁধারির মধ্যে ঘুমহীন ব্যস্ততায় মশগুল। সারা বছর অপেক্ষা করার পর অবশেষে এসে গেছে সেই সময়—বিশ্বকর্মা পুজোর আগে আগে জমে উঠেছে কামারদের কাজ।
দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা। তাই বিশ্বকর্মা পুজো মানেই উৎসব। আর তাকে কেন্দ্র করেই বছরের সবচেয়ে বড় আয়ের সুযোগ মেলে তাদের হাতে। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে দাসপুরে বসে এক ঐতিহ্যবাহী মেলা। যুগের পর যুগ ধরে এই মেলা চলছে, যেখানে গ্রামবাংলার মানুষ ভিড় জমায় লোহার তৈরি নানা সরঞ্জাম কেনার জন্য। ঘরোয়া ব্যবহারের জিনিস থেকে শুরু করে কৃষিকাজ ও নির্মাণকাজের সরঞ্জাম—সবই পাওয়া যায় এখানে। ফলে ভিড়ও হয় প্রচুর, আর এই ভিড়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে কামারদের বিক্রিও।
advertisement
advertisement
কুড়োল, কাঁঠালি, কোদাল, বঁটি, দা ছাড়াও কৃষিকাজে ব্যবহৃত নানা রকমের লোহার সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে ব্যস্ত হাতে। শুধু তাই নয়, রাজমিস্ত্রিদের কাজে লাগবে এমন লোহার যন্ত্রপাতিও তৈরি করছেন কামাররা। তাই এখন দিন-রাত এক করে চলছে হাতুড়ির আঘাত, আগুনের লেলিহান শিখা আর লোহা পেটানো।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক কামার শিল্পী বাসুদেব রানা বলেন, “আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য। পুজোয় মেলা বসলেই দোকান দিয়ে এসব মালপত্র বিক্রি করি। এতে শুধু আমি নয়, আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের পরিবারেরও রুজি-রুটি জোটে। বছরে দু’তিন দিন এই মেলাতেই মোটা টাকা আয় হয়, আর সেখান থেকেই সারা বছরের সংসার চলে।”
advertisement
সংসারের চাকা সচল রাখতে বিশ্বকর্মা পুজো-ঘিরে এই আয়ের সুযোগই ভরসা দাসপুরের কামারদের। তাই ঘুমহীন রাত, অগ্নিকুণ্ডের তাপ আর অবিরাম হাতুড়ির শব্দই এখন তাদের সঙ্গী। মেলার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ব্যস্ততা। দাসপুরের এই কামারশিল্প শুধু জীবিকার সঙ্গেই জড়িত নয়, বহু প্রজন্ম ধরে চলা এক ঐতিহ্যেরও প্রতীক। বিশ্বকর্মা পুজোর মেলা সেই ঐতিহ্যকে নতুন করে জীবিত করে তোলে প্রতিবছর। আর সেই ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই দিন-রাত এক করে কাজ করছেন কামার শিল্পীরা, যাতে মেলায় তাদের হাতের গড়া সরঞ্জাম বিক্রি হয়, আর সংসারে ফেরে সুখের আলো।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
রাত বাড়তেই বাড়ছে ধুপধাপ-ঠকঠক শব্দ! বিশ্বকর্মা পুজোর আগে হলটা কী মেদিনীপুরে! জানুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement