TRENDING:

Birbhum News: জেলার সব স্কুলে একসঙ্গে ১২টায় বাজল ঢং ঢং করে ঘণ্টা! কি এমন ঘটল বীরভূমে

Last Updated:

বুধবার বেলা ১২টা বাজতেই জেলার সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে একযোগে ঘণ্টাধ্বনি। কি শুনে অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন কি কারণে এই ঘণ্টাধ্বনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: বুধবার বেলা ১২টা বাজতেই জেলার সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে একযোগে ঘণ্টাধ্বনি। কি শুনে অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন কি কারণে এই ঘণ্টাধ্বনি।মূলত জেলায় মাথাচাড়া দিয়েছে বাল্যবিবাহের সমস্যা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-র মত সরকারি প্রকল্প চালু করেছে, সেখানেই বাল্যবিবাহের অভিশাপে শিক্ষা মেয়েদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে দূরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দূর করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, শিক্ষা দফতর মিলে এই অভিনব কর্মসূচির উদ্যোগ নেন।
advertisement

জেলার সব স্কুলেই মঞ্চস্থ হয় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনীত নাটক। বাল্য বিবাহ ও নাবালিকা প্রসূতি বন্ধে সচেতনতা আনতে এই কর্মসূচি নিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়। করোনা মহামারী চলার সময় থালাবাটি বাজিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সেই ঢংয়ে জেলাজুড়ে এই চেষ্টা জেলা প্রশাসনের। তার আগে সোমবার বেলা ১১টায় সারা জেলাজুড়ে একসঙ্গে প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা শোভাযাত্রা বের করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: ঘুরে দেখা যাবে কবিগুরুর গোটা বিশ্বভারতী? ভুল করবেন না, আগে জেনে তারপরেই করুন ট্যুর প্ল্যান

যার মূল উদ্দেশ্যে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা। কোথাও নাচের মাধ্যমে প্রচার।কোথাও আবার গান গেয়ে পদযাত্রা। কোথাও আবার ছাত্রীরা সেজেছে নব বরবধূ।কোথাও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রচার। কারণ রাজ্যের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও নাবালিকা প্রসূতিতে রাজ্যের শীর্ষ স্থানে বীরভূম। প্রসঙ্গত গত বছর এপ্রিল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত তথ্য পরিসংখ্যান চমকে দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। আর সেই তথ্য চমকে দেবে আপনাদেরও। জানা গেছে, মূলত রামপুরহাট মহকুমায় ৫,৩৯৮ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়নি। তবুও প্রশাসনের তৎপরতাই ৪৩টি বন্ধ করা গিয়েছে।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

অন্যদিকে সিউড়ি মহকুমায় ৩২১৮টি বিয়ে বন্ধ করা যায়নি। ৪৪টি বন্ধ করা গিয়েছে।বোলপুর মহকুমায় ১৮৬০টি বন্ধ করা যায়নি, তবুও ১৪০ টি বন্ধ করা গিয়েছে। তবে এবার শুধু প্রশাসন নয় অভিভাবক থেকে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের সকলকে একযোগে এই সামাজিক ব্যাধি বন্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। আর সেই কারণেই এইদিন বেলা ১২টায় জেলার সমস্ত স্কুলে একসঙ্গে বেজে উঠেছে ঘণ্টার আওয়াজ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সঙ্গীর অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ? ডিসেম্বরেই ঢুঁ মারুন সুতানের নির্জন জঙ্গলে, রইল ঠিকানা
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News: জেলার সব স্কুলে একসঙ্গে ১২টায় বাজল ঢং ঢং করে ঘণ্টা! কি এমন ঘটল বীরভূমে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল