জেলার সব স্কুলেই মঞ্চস্থ হয় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনীত নাটক। বাল্য বিবাহ ও নাবালিকা প্রসূতি বন্ধে সচেতনতা আনতে এই কর্মসূচি নিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়। করোনা মহামারী চলার সময় থালাবাটি বাজিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সেই ঢংয়ে জেলাজুড়ে এই চেষ্টা জেলা প্রশাসনের। তার আগে সোমবার বেলা ১১টায় সারা জেলাজুড়ে একসঙ্গে প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা শোভাযাত্রা বের করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুরে দেখা যাবে কবিগুরুর গোটা বিশ্বভারতী? ভুল করবেন না, আগে জেনে তারপরেই করুন ট্যুর প্ল্যান
যার মূল উদ্দেশ্যে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা। কোথাও নাচের মাধ্যমে প্রচার।কোথাও আবার গান গেয়ে পদযাত্রা। কোথাও আবার ছাত্রীরা সেজেছে নব বরবধূ।কোথাও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রচার। কারণ রাজ্যের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও নাবালিকা প্রসূতিতে রাজ্যের শীর্ষ স্থানে বীরভূম। প্রসঙ্গত গত বছর এপ্রিল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত তথ্য পরিসংখ্যান চমকে দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। আর সেই তথ্য চমকে দেবে আপনাদেরও। জানা গেছে, মূলত রামপুরহাট মহকুমায় ৫,৩৯৮ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়নি। তবুও প্রশাসনের তৎপরতাই ৪৩টি বন্ধ করা গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে সিউড়ি মহকুমায় ৩২১৮টি বিয়ে বন্ধ করা যায়নি। ৪৪টি বন্ধ করা গিয়েছে।বোলপুর মহকুমায় ১৮৬০টি বন্ধ করা যায়নি, তবুও ১৪০ টি বন্ধ করা গিয়েছে। তবে এবার শুধু প্রশাসন নয় অভিভাবক থেকে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের সকলকে একযোগে এই সামাজিক ব্যাধি বন্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। আর সেই কারণেই এইদিন বেলা ১২টায় জেলার সমস্ত স্কুলে একসঙ্গে বেজে উঠেছে ঘণ্টার আওয়াজ।
সৌভিক রায়





