শেষমেশ ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার আশা একরকম ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবার। জানা যায়, বুধন তাঁর গ্রাম থেকে পৌঁছে যায় হুগলি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে গোপালনগর নিবেদিত ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ০৭/১১/২০২২ তারিখ তাকে পৌঁছে দেয় রামপুরহাটের এক আশ্রমে। সেখান থেকেই ভগবানের ইচ্ছেই হঠাৎই ছেলের খোঁজ পেলেন বীরভূমের এক নামী ব্যবসায়ী দীপ চাঁদ খৈতানের স্ত্রী মঞ্জু খৈতানের সহযোগিতায়। মঞ্জু খৈতান রামপুরহাট স্প্যাস্টিক ও হ্যান্ডিক্যাপ সোসাইটির আবাসিকদের কিছু খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখতে পান বুধনকে।
advertisement
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে মুঘল আমলের শিল্পের হাত ধরেই রোজগারের নয়া দিশা! প্রশংসনীয় পদক্ষেপ প্রশাসনের
তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অন্য জায়গায়। সোসাইটির সদস্যরা জানান, বুধন কথা বলতে পারে না। মঞ্জু খৈতান চেষ্টা করেন তার সঙ্গে কথা বলার জন্য, তখন বুধন কথা বলে। তখন জানা যায়, তাঁর বাড়ি বিহারে। তখনই মঞ্জু খৈতান তার ছেলেকে জানায় বিহারের সেই জায়গায় ফোন করে বুধনের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য। এরপর চলে খোঁজখবর। জানা যায় তার বাড়ি নালন্দা জেলার গোধাপুর গ্রামে। পড়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুধনকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছেলেকে খুঁজে পেয়ে কার্যত খুশির হাওয়া পরিবারের মধ্যে। রামপুরহাট এসে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যায় মামা ও দাদু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একদিকে যখন ছেলেকে খুঁজে পেয়ে পরিবারের মধ্যে খুশির হাওয়া, ঠিক অন্য জায়গায় মামা দাদুকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ছেলে। তাদের এই খুশি দেখে চোখের জল আটকে রাখতে পারলেন না ব্যবসায়ী দীপ চাঁদ খৈতান, তার স্ত্রী মঞ্জু খৈতান এবং রামপুরহাট স্প্যাস্টিক হ্যান্ডিক্যাপড সোসাইটির আবাসিকরা।
সৌভিক রায়





