বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বর্ষাতেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের। বছরের পর বছর ধরে লালদীঘি এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে বর্ষার জল পুকুর-ড্রেন-পথ সবকিছু মিলিয়ে একাকার হয়ে যায়। ফলে, কোথায় রাস্তা আর কোথায় জলাশয় তা চেনা দায়। এর জেরে বাড়িতে জল ঢোকা তো আছেই, সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার ঘটনাও ক্রমবর্ধমান। কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তি রাস্তায় পিছলে পড়ে গুরুতর জখম হন, অভিযোগ স্থানীয়দের।
advertisement
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরের স্কুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার? ভিডিও ছড়াতেই বিরাট আতঙ্ক, দেখুন
স্থানীয় বাসিন্দা শেক হাসান বলেন, “ড্রেন থেকে শুরু করে পুকুরের জল সব রাস্তায় উঠে আসছে। হাঁটার মত পরিস্থিতি নেই। কাউন্সিলরকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। ভিডিও পাঠিয়েছি, ফোনে বলেছি কিন্তু তিনি আসেননি। বলছেন, চেয়ারম্যানের কাছে যান। তাহলে তাঁকে ভোট দিয়ে কী লাভ?” স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এটা কোনও নতুন সমস্যা নয়। প্রতি বছরই এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমাদের। শেষ সপ্তাহে এক শিশু পড়ে গিয়ে পা ভেঙেছে। নিকাশির কোনও উন্নতি হয়নি বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, “খবর পাওয়া মাত্রই এলাকা পরিদর্শন করি। দুটি পাম্প বসান হয়েছে, পাশাপাশি ড্রেন পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে। মূল সমস্যা হল, ড্রেনের ওপর অনেকেই অবৈধভাবে ঘর বানিয়ে বসেছেন, যার ফলে জল বেরোতে পারছে না। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
জল যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে দুটি পাম্প বসানো হয়েছে এবং ড্রেন পরিষ্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়। আশ্বাসের পর অবরোধ ওঠে। তবে তমলুক শহরবাসী এই জল যন্ত্রণার স্থায়ী সমাধান চাইছে।
সৈকত শী





