পরিবারের দাবি, মুর্শিদাবাদের বড়োঞা থানার পানুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল ভল্লার বছর পাঁচেকের শিশু বিষ্ণু ভল্লা বেশ কয়েকদিন যাবৎ সর্দি জ্বরে ভুগছিল। হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করায় গত ৩-৪ দিন আগে শিশুটিকে সাঁইথিয়ার একজন চিকিৎসককের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ঠান্ডা লেগে জ্বর এসেছে বলে জানিয়ে কিছু ওষুধ দেন। এরপরেও দু-একদিন কেটে যায়, কিন্তু তাতেও শিশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শিশুটিকে সিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেও শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। বর্ধমান হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটিকে সাপে কামড়েছে। এরপর তড়িঘড়ি চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করলেও অনেকটা দেরী হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে শিশুটি। সামান্য অসাবধানতার কারণে প্রাণ গেল ছোট্ট শিশুটির। অনেক সময় বিষধর কামড়ালে বোঝা যায় না। বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলে সাপের উপদ্রব বাড়ে, বড়রা সচেতন থাকলেও ছোটরা বুঝতে পারে না। সেক্ষেত্রে বাবা মাকেই এ বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
সায়নী সরকার