হাওড়া শহরে কেএমডি এবং হাওড়া পুরসভার নিজস্ব ছোট ছোট পাম্পিং স্টেশন বা পাম্পিং ব্যবস্থা রয়েছে জল নামাতে। কিন্তু শহরের বিপুল পরিমাণ জল জমার সমস্যার ক্ষেত্রে তা পর্যাপ্ত নয়। এগুলোই এতদিন কাজে লাগানো হচ্ছে শহরের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা থেকে জল নিষ্কাশন করতে। সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় নদীতে জোয়ার দিলে। শহর জলমগ্ন হলে, নদীর জোয়ারের জল কম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যে কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে।
advertisement
সমস্যা সমাধানে হাওড়া পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করছে। অবশেষ সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। গত কয়েক মাস আগেই একটি সিদ্ধান্ত পাস হয় হাওড়া শহরের জল নিষ্কাশন করতে। বৃহৎ আকারে পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করে জোয়ারের মধ্যেও পাম্পের মাধ্যমে বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরে জমা জল নদীতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুনঃ ভয়ানক শোষক পোকা শুষে নিচ্ছে ধান গাছের সব রস, কালনায় আমন চাষে চরম ক্ষতি, সরকারি সহায়তার আশায় কৃষকেরা
এ প্রসঙ্গে হাওড়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক ডঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, শহরের বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে বর্ষায়। সম্পূর্ণরূপে সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা এবং আলোচনা চলছিল। তার ফলস্বরূপ, গত প্রায় চার মাস আগে সিদ্ধান্ত স্থির হয়। সেচ দফতরের সহযোগিতায় হাওড়া পৌরসভা নাজিরগঞ্জ এলাকায় একটি সেন্ট্রাল পাম্পিং স্টেশন তৈরি করছে। যার মাধ্যমে প্রায় ২৫-৩০টি ওয়ার্ডের মানুষ সুফল পাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই স্টেশনের মাধ্যমে নদীতে জোয়ার থাকলেও প্রেসার দিয়ে শহরের জল নদীতে পাঠান সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, সেন্ট্রাল এই পাম্পিং স্টেশন তৈরিতে কত খরচ তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বড় অংশের অর্থ খরচ তা প্রায় ১০০ কোটি বা তার কম-বেশি হবে বলে জানিয়েছেন। কথাবার্ততা এগোচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।






